বিব্রত যুক্তরাষ্ট্র
জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সুরক্ষা প্রস্তাব পাস
ভেটো দিয়েও জাতিসঙ্ঘে ফিলিস্তিনি সুরক্ষা প্রস্তাব পাস ঠেকাতে পারল না যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার সাধারণ পরিষদে ১৯৩ দেশের মধ্যে ইসরাইলের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ১২০ দেশ। পক্ষে ভোট পড়ে ৮টি। আর ৪৫টি দেশ ভোটদান থেকে বিরত ছিল।
প্রস্তাবে ৬০ দিনের মধ্যে অধিকৃত ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করার উপায় এবং আন্তর্জাতিক পন্থা খুঁজে বের করতে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া গাজা উপত্যকার ভেতরে এবং বাইরে ফিলিস্তিনিদের অবাধে চলাচলের ওপর ইসরাইল যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তা অবসানেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যাকার অধিবাসীরা ৩০ মার্চ থেকে নিজেদের ভূমিতে ফেরার লক্ষ্যে গাজা সীমান্তে ইসরাইলবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করে আসছে। এসব বিক্ষোভ মিছিলে ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত ১৩১ ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ১৩ হাজার ৯০০ জন আহত হয়।
জুন মাসেই গাজা উপত্যকা নিয়ে জাতিসঙ্ঘে নিরাপত্তা পরিষদে তোলা কুয়েতের একটি প্রস্তাবে আমেরিকা ভেটো দেয়ার পর ওই প্রস্তাবের পক্ষের দেশগুলো বিষয়টি সাধারণ পরিষদে তোলে এবং বুধবার তারই ওপর ভোটাভুটি হল।
সাধারণ পরিষদে যুক্তরাষ্ট্র একটি পাল্টা প্রস্তাব তুলে যাতে গাজায় সহিংসতা সৃষ্টির জন্য হামাসকে নিন্দা করা হয়। তবে সে প্রস্তাব দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়। এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ৬২টি আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৫৮টি দেশ। ৪২ দেশ ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল।
জাতিসঙ্ঘে নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মানসুর মার্কিন প্রস্তাবের বিরোধিতা করে বলেন, এতে বিভ্রান্ত না হতে আমি অন্য রাষ্ট্রদূতদের প্রতি আহ্বান জানাব। তিনি আরও বলেন, আমরা খুব সাধারণ কিছু চাইছি, আমরা চাই আমাদের জনগণ সুরক্ষিত থাকুক।
এদিকে, সাধারণ পরিষদে যুক্তরাষ্ট্রও একটি পাল্টা প্রস্তাব তোলে যাতে গাজায় সহিংসতা সৃষ্টির জন্য হামাসকে নিন্দা করা হয়। তবে সে প্রস্তাব দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়। এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়েছে ৬২টি আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছে ৫৮টি দেশ। ৪২ দেশ ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল।