ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে ‘ঘৃণা’ মেলানিয়ার
প্রায় দুই হাজার অভিবাসী শিশুকে মা-বাবার কাছ থেকে আলাদা করার ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের পরিকল্পার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন খোদ ট্রাম্প পত্নী মেলানিয়া ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অমানবিক সিদ্ধান্তের প্রতি ‘ঘৃণা’ জানিয়েছেন ফার্স্ট লেডি।
মেক্সিকো থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন প্রত্যাশীদের অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অভিযান শুরু করেছে। এই অভিযানে বিপুল পরিমাণ পূর্ণ বয়স্ক নারী-পুরুষ আটক হওয়ায় ১৯৯৫ জন শিশু তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রোববার ফার্স্ট লেডির মুখপাত্র স্টেফানি গ্রিশাম সিএনএন-কে জানিয়েছেন, অভিবাসী শিশুদের তাদের মা-বাবা থেকে বিচ্ছিন্ন করাকে ঘৃণার চোখে দেখছেন মেলানিয়া। বারাক ওবামার ডেমোক্র্যাট প্রশাসনের অধীনে এ সংক্রান্ত আইন প্রণীত হলেও মেলানিয়া মনে করছেন, কখনও কখনও হৃদয় দিয়েও শাসনকার্য পরিচালনা করতে হয়। অভিবাসন নীতিতে সংস্কার আনতে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ প্রত্যাশা করেছেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অবশ্য বলছেন, বিগত ডেমোক্র্যাট প্রশাসনের নেওয়া নীতি মেনেই মেক্সিকো সীমান্তে অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছেন তিনি। তবে মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, অতীতে এমন ঘটনা ঘটলেও সে সংখ্যাটা অনেক কম ছিল।
অতীতে দেখা গেছে, যেসব লোক অবৈধভাবে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতো এবং অপরাধের কোনও রেকর্ড ছিল না তাদেরকে আইনের আওতায় অপরাধী সাব্যস্ত না করে শুধুই অস্থায়ীভাবে আটক করা হতো কিংবা বিতাড়িত করার সুপারিশ করা হতো। মা ও শিশুরা সাধারণত একসঙ্গেই থাকতো। ট্রাম্প প্রশাসনর অবৈধ অভিবাসন প্রত্যাশীর বিরুদ্ধে আইনগত ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করার প্রথম ৬ সপ্তাহেই প্রায় ২ হাজার শিশু পরিবার-বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ওই শিশুরা হেলথ অ্যান্ড হিউম্যান সার্ভিস বিভাগের তত্ত্বাবধানে সরকারের ডিটেনশন ফ্যাসালিটিজ ও ফস্টার কেয়ারে রয়েছে। এভাবে শিশুদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার নীতির বিরোধিতা করেছেন মেলানিয়া ট্রাম্প। মেলানিয়ার মুখপাত্র সিএনএন-কে জানান, ‘পরিবারের কাছ থেকে শিশুদের বিচ্ছিন্ন করার দৃশ্যকে মেলানিয়া ঘৃণার চোখে দেখেন। তিনি আশা করেন, কংগ্রেসে রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাট দুই পক্ষ শেষ পর্যন্ত অভিবাসন আইন সংস্কারের প্রশ্নে একমত হতে পারবে।’
ফার্স্ট লেডি হিসেবে হোয়াইট হাউসে আসার পর থেকেই শিশুদের সুরক্ষার প্রশ্নটিকে মনযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছেন মেলানিয়া। সাইবার অপরাধ ও আফিমের মহামারী থেকে শিশুদের সুরক্ষাসহ বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে সোচ্চার হতে দেখা গেছে তাকে।