বিশ্বে ৩৮ মিলিয়ন বিধবা দারিদ্র্যে জর্জরিত

Womenবিশ্বে ৭ জন বিধবার মধ্যে ১ জন শুধু যে দারিদ্রে জর্জরিত তাই নয়, যুদ্ধই নারীকে বিধবায় পরিণত করার অন্যতম কারণ। যুদ্ধ, দ্বন্দ্ব ও রোগাক্রান্ত হয়ে স্বামী মারা যাওয়ায় বিশ্বে বিধবার সংখ্যা এত দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। এর ফলে লাখ লাখ বিধবা সিরিয়া থেকে মিয়ানমারে নানা ধরনের দুর্গতি ও দুর্দশায় পতিত হয়ে আছেন। গতকাল শনিবার আন্তর্জাতিক বিধবা দিবস উপলক্ষে এ তথ্য দিয়ে বলা হয়েছে তাদের নিয়তই যেন সৌভাগ্যকে কেড়ে নিয়েছে। এমনকি তাদের অনেককে অবমাননাকর যৌনতায় বাধ্য করা হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ২০১৫ সালে বিশ্বে বিধবার সংখ্যা ২৫৮.৫ মিলিয়ন। মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায় বিধবার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে দ্বন্দ্ব, সংঘাত ও যুদ্ধ। ২০১০ থেকে ২০১৫ সালে সিরিয়া যুদ্ধ ও অন্যান্য দেশে সংঘাতের কারণে বিধবার সংখ্যা ২৪ ভাগ বৃদ্ধি পায়। ১০ জন বিয়ে যোগ্য বয়সী নারীর একজনই বিধবা। এ সংখ্যা আফগানিস্তান ও ইউক্রেনে ৫। এক তৃতীয়াংশ বিধবা বাস করে চীন অথবা ভারতে। ২০১৫ সালে বিশ্বের ৪৬ মিলিয়ন বিধবার ৪৪.৬ মিলয়ন ছিল চীনে।
ক্যাম্পেইনারস ফর উইডো’স রাইটস বলছে স্বামীর ইচ্ছা বা সামাজিক রীতি নীতির কারণে অনেক বিধবাকে অধিকার বিসর্জন দিতে হয়। তাকে রোগ বহন করতে হয় যা তার জন্যে অমর্যাদাকর। এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বামীর মৃত্যু বা তাকে হত্যার জন্যে বিধবা স্ত্রীকে দোষী করা হয়। ভারত, নেপাল, পাপুয়া নিউগিনি ও সাব সাহারা আফ্রিকার দেশগুলোতে এইচ আইভি /এইডস’এর কারণে স্ত্রীদের দায়ী করা হয়ে থাকে। এ্যাঙ্গোলা, বাংলাদেশ, বতসোয়ানা, ভারত, আইভোরি কোস্ট, ঘানা, কেনিয়া, মালাভি, নাইজেরিয়া, তানজানিয়া ও জিম্বাবুয়ের মত দেশে স্ত্রীরা স্বামীর সম্পত্তির ভাগ ঠিকমত পান না।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button