খালাফ আলী হত্যা মামলায় আপিলের যুক্তিতর্ক শুরু ২৩ সেপ্টেম্বর
সৌদী আরব দূতাবাসের কর্মকর্তা খালাফ আল আলী হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ডের আসামীদের আপিলের যুক্তিতর্ক শুরু হবে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর। নি¤œ আদালতে দেয়া মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে আসামীদের করা আপিলের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে শুনানি হচ্ছে। গত আগস্ট এ মামলায় ৩৩ জনের সাক্ষ্য ও জেরা পাঠ শেষ হয়েছে।
গতকাল রোববার বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি কাজী মোঃ ইজারুল হক আকন্দ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ যুক্তিতর্কের এ দিন ধার্য করেছেন।
আসামীপক্ষে মামলা পরিচালনা করছেন এডভোকেট খবির উদ্দিন ভূঁইয়া ও আমিনুর রশিদ রাজু। সরকারপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এটর্নি জেনারেল মোঃ খোরশেদুল ইসলাম।
গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলায় পাঁচ জনকে মৃত্যুদ- দেয় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মোঃ মোতাহার হোসেন। মৃত্যুদ-প্রাপ্তরা হলেন সাইফুল ইসলাম, মোঃ আল আমীন, আকবর আলী লালু, রফিকুল ইসলাম ও সেলিম চৌধুরী।
জানা যায়, গত বছর ৫ মার্চ মধ্যরাতে গুলশানে নিজের বাসার কাছে গুলীবিদ্ধ হন সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী (৪৫)। পরদিন ভোরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তিকাল করেন। হত্যাকা-ের দু’দিন পর গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশারফ হোসেন এ মামলাটি দায়ের করেন। এর সাড়ে চার মাস পর চার ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ২০ সেপ্টেম্বর এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে পাঁচ আসামীকে অভিযুক্ত করে ৩৯৬ ধারায় খুনসহ ডাকাতি মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিটে সৌদি দূতাবাস কর্মকর্তা খালাফ আল আলী ছিনতাইকারীদের রিভলবারের গুলীতে নিহত হওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। এতে ৩১ জন সাক্ষী ও ১১ প্রকার আলামত জব্দের বিষয়টি রয়েছে।
আসামী আল আমীন বিচারকের কাছে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীতে বলেন, ‘সাইফুলসহ বাকি চারজন ওই রাতে খালাফকে ঘিরে ধরেন এবং তার কাছে ডলার চান। ডলার না দেয়ায় তাদের মধ্যে ধস্তাধাস্তি হয়। পরে সাইফুল তার হাতে থাকা রিভলবার দিয়ে খালাফ আলীকে গুলী করে পালিয়ে যায়।
তবে গ্রেফতারকৃত চার আসামী গত ১০ ডিসেম্বর আত্মপক্ষ সমর্থন করে নিজেদের নির্দোষ দাবি এবং ন্যায় বিচার প্রার্থনা করে। শুনানি শেষে আদালত পাঁচজনকে মৃত্যুদ- দেন।