এরদোগানকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর অভিনন্দন
রাষ্ট্রপতি মো আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হওয়ায় রজব তৈয়ব এরদোগানকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তুর্কী প্রেসিডেন্টকে পাঠানো এক বার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, তুরস্কের জনগণ তাদের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আপনাকে পুনঃর্নির্বাচিত করায় আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এটি আপনার নেতৃত্বের প্রতি তাদের আস্থারই সুস্পষ্ট প্রকাশ। নির্বাচনে নিরঙ্কুশ এই সাফল্য অর্জন করায় আপনাকে আমার উষ্ণ অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্ক উভয়ের ইতিহাস, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও ঐতিহ্যের মধ্যে মিল থাকায় চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রয়েছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, আমি বিশ্বাস করি আগামী দিনগুলোতে ভ্রাতৃপ্রতীম জনগণ দু’দেশের শান্তি, উন্নয়ন এবং অগ্রগতির পথে একসঙ্গে এগিয়ে যাবে। একই সঙ্গে আমাদের মধ্যে বিদ্যমান চমৎকার সম্পর্ক আরো জোরদার করবে।
তিনি এ সময় এরদোগানের সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ কামনার পাশাপাশি ভ্রাতৃপ্রতীম তুরস্কের জনগণের অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি মো আবদুল হামিদ এ সময় প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে যতদ্রুত সম্ভব পারস্পারিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরে আসারও আমন্ত্রণ জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে পাঠানো এক অভিনন্দন বার্তায় বলেন, দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে আপনার পুনঃনির্বাচিত হওয়ার খবর শুনে আমি খুশি হয়েছি। আমি মনে করি, এই নির্বাচন হচ্ছে আপনার প্রতি তুরস্কের জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের একটি পরীক্ষা। তিনি বলেন, এই খুশির মুহূর্তে আমি ব্যক্তিগতভাবে এবং আমার সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
শেখ হাসিনা বাংলাদেশ এবং তুরস্কের জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ ও ভ্রাতৃপ্রতিম সম্পর্কের উল্লেখ করে বলেন, শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সম্পর্ক বিরাজ করছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের জনগণ কাক্সিক্ষত শান্তি, উন্নয়ন ও কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় হাতে হাত রেখে কাজ করে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন। প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া নির্যাতিত মুসলিম রোহিঙ্গা জনগণের প্রতি এরদোগানের ব্যক্তিগত সহযোগিতার উল্লেখ করে এই নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষগুলোর প্রতি তুরস্কের ভ্রাতৃপ্রতিম জনগণ ও সরকারের ভূমিকার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, তার সরকার এবং জনগণ বাংলাদেশের মাটিতে রোহিঙ্গা মুসলমানদের আশ্রয় দিয়ে সহায়তার হাত বাড়িয়েছে। তিনি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তায় শিগগির রোহিঙ্গা শরণার্থীরা একটি নিরাপদ পরিবেশে মিয়ানমারে ফিরে যেতে সক্ষম হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশে সফরে আসতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে আমন্ত্রণ জানান।