এরদোগানের সফলতা ইসলামী বিশ্বের বিজয়
তুরস্কের সাধারণ নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগানের জয়লাভকে স্বাগত জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার পিকেআর পার্টির নেতা দাতুক সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম। তিনি এরদোগানের এই জয়কে ‘ইসলামী বিশ্বের বিজয়’ বলে মন্তব্য করেছেন।
গত রোববারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দ্বিতীয় মেয়াদে বিজয়ী এরদোগানকে লেখা একটি চিঠিতে আনোয়ার বলেন, তুরস্কের অগ্রগতি এবং বিশ্বে তার অবস্থান এরদোগানের ‘গতিশীল নেতৃত্বের’ অধীনে আরো বিকশিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি আপনার এই বিজয় ইসলামী বিশ্বের জন্যও একটি বিজয়। আমাদের বিশ্বাসের মূল্যবোধ ও মহানবী (সা.) এর মৌলিক শিক্ষার কোনো পরিবর্তন না ইসলামকে একটি আধুনিক এবং প্রগতিশীল রূপ দিতে এই বিজয় প্রয়োজন ছিল।’
এছাড়াও, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য তুরস্কের জনগণকেও তিনি অভিনন্দন জানান।
তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, গণতন্ত্র রক্ষা, তুর্কি জনগণের ক্রমাগত উন্নতি, শান্তির প্রচার এবং সন্ত্রাস দূর করা ছিল আপনার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি এবং দ্বিতীয় মেয়াদে আপনার বিজয় লাভে এটি ব্যাপকভাবে অবদান রেখেছে এবং আশা করি তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হবেন।’
২০০৩ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত তুরস্কের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন এরদোগান। ২০১৪ সালেই তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। এর আগে ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত ইস্তাম্বুলের মেয়র ছিলেন। তার প্রধান সমর্থক হচ্ছেন রক্ষণশীল এবং ধার্মিক অপেক্ষাকৃত বয়স্ক তুর্কিরা।
ঐতিহাসিক বিজয়ের কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য : তুরস্কে প্রথমবারের মতো প্রেসিডেন্সিয়াল সিস্টেমে নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে এরদোগান ৫২.৫ শতাংশ ভোট ও সংসদ নির্বাচনে একেপি জোট ৬০০ আসনের মধ্যে ৩৪৩ আসন পেয়ে বিজয়ী হয়েছে। এরদোগান তার ১৬ বছর শাসনামলে এই প্রথম শক্তিশালী বিরোধী জোটকে মোকাবেলা করে বিজয়ী হলো।এই নির্বাচনে ৫,৯৩,৫৪,৮৪০ জন ভোটারের মধ্যে ৮৭.৫ শতাংশ জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।