আল্লাহ-রাসূল নিয়ে কটুক্তি হলে প্রতিবাদ করবোই করবো : সংসদে নিজাম
‘কেউ নাস্তিক হলে আমার কোনো আপত্তি নেই’। আমার আপত্তি হলো এক জায়গায়- ‘আমার কুরআন নিয়ে কথা (কটুক্তি) বললে, আমার রাসূল নিয়ে কথা বললে, আমাকে জেলে নিবেন, না কোথায় নিবেন তাতে আমার কিছু এসে যায় না, আমি কিন্তু প্রতিবাদ করবোই, করবো।’
বুধবার রাতে জাতীয় সংসদে এমন জ্বালাময়ী বক্তব্য রাখেন লক্ষ্মীপুর ৪ আসনের বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজাম।
এসময় হেফাজত প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন, হেফাজত নিয়ে আমি কোনো কথা বলবো না। কারণ, আমি দেখেনি কত লোক মারা গিয়েছে, কত লোক অক্ষত আছে। কিন্তু আমি শুনেছি। সেদিন ইরানিয়ান টেলিভিশন অনেক কথা বলেছে। মানবাধিকার সংগঠন অধিকারের কাছে নিহত ১১৫ জন হেফাজতকর্মীর নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করেছে। সে সম্পর্কেও আমার কোনো বক্তব্য নেই।
‘যুগান্তর লিখেছে- ওই দিন শাপলা অভিযানে এক লাখ ২৪ হাজার গোলাবারুদ ব্যবহার করা হয়েছে। আমি সে সম্পর্কেও কোনো কথা বলতে চাই না। কিন্তু আমি বলতে চাই- এই কওমি মাদ্রাসার মানুষগুলো, এই ফোরকানিয়া মাদ্রাসার মানুষগুলো আমাদেরকে ধর্মীয় শিক্ষা দিয়েছেন, তারা আমাদেরকে কবরের সাওয়াল-জওয়াব সম্পর্কে শিক্ষা দিয়েছেন’, বলে উল্লেখ করেন নিজাম।
তিনি বলেন, আমি দেখেছি- এই মানুষগুলোকে কান ধরা অবস্থায় পিছনে লাথি মারতে মারতে যখন সেখানে তাড়িয়ে দিয়েছে তখন গ্রাম-বাংলার লাখ লাখ মানুষ কান্না করেছে। এটা কিন্তু আল্লাহ সহ্য করবে না।
তত্ত্বাবধায়ক নিয়ে নিজাম বলেন, সুন্দর ভোট করার জন্য সমঝোতার সরকার করা হোক, তত্ত্বাবধায়ক সরকার করা হোক, যেটাই করা হোক তা যেন মানুষের বিশ্বাসযোগ্য হয়।
তারেক রহমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সৌদি আরবে তারেক রহমান সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন- আমি এবং আমার পরিবার যদি এত কষ্ট পেয়েও সহ্য করতে পারি, অবশ্যই আমাদের দলীয় নেতাকর্মীরাও দেশের স্বার্থে সহ্য করবেন। কোনো প্রতিহিংসার রাজনীতি করবো না।’
নিজাম বলেন, তারেক রহমানকে আপনাদের এত ভয় কেন? একদিন তিনি (তারেক) ঢাকায় বিমানবন্দরে নামবেন। সেদিন লাখ লাখ মানুষের জোয়ারের কাছে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মার্কা বড় বড় কথা আর স্বপ্ন সেদিন ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে।’