ইরানের তেল আমদানি বন্ধ না করলে নিষেধাজ্ঞা

ভারতকে হুমকি দিলেন ট্রাম্প

Trampইরানের কাছ থেকে তেল আমদানি বন্ধ না করলে ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি বলেন, ইরানের সঙ্গে চুক্তিতে যাবে, এমন যে কোনো দেশের সুযোগ-সুবিধা বন্ধ করবেন তিনি। ইরানের কাছ থেকে তেল আমদানি করে ভারত। মাকির্ন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব তাই তার ওপরও পড়েছে।
২০১৫ সালের জুনে তেহরানের সঙ্গে পরমাণু ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় জাতিগোষ্ঠীর চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। গত ৮ মে ইরানের বিরুদ্ধে সমঝোতা ক্ষুণ্ণের অভিযোগ তুলে পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন মাকির্ন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ‘জয়েন্ট কমপ্রিহেন্সিভ প্লান অব অ্যাকশন’ (জেসিপিওএ) নামের এই চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে চুক্তি কাযর্কর রাখতে প্রতি তিন মাস পরপর দেশটির প্রেসিডেন্টের সম্মতি দরকার। গত ১২ মে পরবর্তী তিন মাসের জন্য এই চুক্তিতে ট্রাম্প স্বাক্ষর না করায় যুক্তরাষ্ট্রের দিক থেকে সমঝোতা ভেস্তে যায়।
ট্রাম্প জানিয়েছেন, যে কোনো দেশ ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাখলে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়বে। এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, এতে করে ওয়াশিংটন-দিল্লি সম্পর্কের প্রভাব পড়বে কিনা। জবাবে বলা হয়, ‘অবশ্যই ভারতের ওপর প্রভাব পড়বে।’
ট্রাম্প বলেন, ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক রাখলে চীন ও ভারতের সঙ্গে সম্পকের্র প্রভাব পড়বে।
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানিয়েছেন, তারা শুধু জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞাকেই অনুসরণ করবে। কোনো দেশের একক নিষেধাজ্ঞায় তারা তাদের অবস্থান পরিবতর্ন করবে না। পণ্য আমদানিতে যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কারোপ ও ইরানের কাছ থেকে তেল কেনা নিয়ে মাকির্ন-ভারত সম্পর্ক জটিলতায় রয়েছে। ২৩ জুন ‘টাইমস অব ইনডিয়া’ জানায়, শুল্কারোপ নিয়ে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যযুদ্ধ চললেও যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এক হাজার বেসামরিক পরিবহন বিমান কিনতে চায় ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে তেল ও গ্যাস আমদানিও বাড়াতে চাইছে ভারত। এজন্য দিল্লির পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে ট্রাম্পের কাছ থেকে এই হুমকি এলো।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button