চাপের ব্যথা টের পাচ্ছে মিয়ানমার
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ‘আরেক দফা চাপে’ পড়েছে তা জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসসহ অনেক উচ্চপদস্থদের বাংলাদেশে আগমনে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে বলে ধারণা বিশেষজ্ঞদের।
বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম, আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটির (আইসিআরসি) প্রেসিডেন্ট পিটার মোরার, জাতিসংঘের উদ্বাস্তু বিষয়ক হাইকমিশনার ফিলিপ্পে গ্র্যান্ডি ও মিয়ানমারে মানবাধিকারবিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াংহি লি ইতিমধ্যে বাংলাদেশে এসেছেন। রোববার এসেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির বিশিষ্ট অধ্যাপক আলী রিয়াজ বলেন, ‘একদম ঠিক, এটা মিয়ানমারের ওপর এক ধরনের চাপ। আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ার কিছু ফল আসছে। মিয়ানমার ব্যথাটা টের পাচ্ছে।’
তিনি জানান, চাপে পড়ে মিয়ানমার সাম্প্রতি একজন জেনারেলকে বরখাস্ত করেছে, তার বিরুদ্ধে গত আগস্টে রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর বর্বর অভিযান চালানোর অভিযোগ রয়েছে।
বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করা অধ্যাপক রিয়াজ বলেন, ‘মিয়ানমারের ওপর চাপের বিষয়টি (উচ্চপদস্থদের) চলতি সফরের মাঝ দিয়েই দৃশ্যমান হয়েছে। এখন সেই চাপ কীভাবে কাজ করবে তা আমাদের দেখতে হবে।’
কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, মিয়ানমার স্টেট কাউন্সিলর কার্যালয়ের ইউনিয়নমন্ত্রী কিয়াও টিন্ট সুই এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী বেইজিং সফরকালে শুক্রবার সেখানে বৈঠক করেছেন।
এমন বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক রিয়াজ বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে চীন তাদের ‘উপস্থিতি’ দেখাতে চায়। এখন পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিকভাবে যা হয়েছে তা হয়েছে চীনের ফর্মুলায়। -ইউএনবি