স্পেনকে হারিয়ে শেষ আটে রাশিয়া
গোটা ম্যাচে দুর্দান্ত খেলল স্প্যানিশরা, অথচ হেরে মাঠ ছাড়তে হলো তাদের। অধিকাংস সময় বল পায়ে থাকল, স্কিল মুগ্ধ করল, আক্রমণের পসরা সাজালো। পুরো ১২০ মিনিট আটকে রাখলো টপ ফেবারিট স্পেনকে। তবু জয় পেল না স্পেন। শেষে টাই ব্রেকারে ৪-৩ গোল ব্যবধানে স্পেনকে হারিয়ে শেষ আটে চলে গেছে স্বাগতিক রাশিয়া।
প্রথমার্ধের ১-১ গোলে সমতার পর দ্বিতীয়ার্ধেও সেই ১-১ গোলের সমতায় শেষ হয় স্পেন-রাশিয়া ম্যাচটি। এরপর দুই অর্ধে ৩০ মিনিটের খেলাও সমতায় শেষ হয় ম্যাচ। শেষে রাশিয়া বিশ্বকাপের নক আউর্টে পর্ব পড়ায় টাই ব্রেকারে।
দ্বিতীয় রাউন্ডের তৃতীয় ম্যাচে এসে প্রথম অতিরিক্ত সময়ে গড়াল রাশিয়া বিশ্বকাপ। প্রথমার্ধে ১-১ গোলে সমতা থাকায় দুই অর্ধে ১৫ মিনিট করে খেলা হবে। তাতে যদি কোন দল জিততে না পারে তবে টাই ব্রেকার হবে স্পেন-রাশিয়া ম্যাচে। স্পেনের বিপক্ষে রাশিয়ার দাঁড়াতে পারার কথা নয়। কিন্তু স্বাগতিক বলে তারা স্পেন শিবিরেও ম্যাচের আগে ভয় ধরিয়েছে। স্পেন তাদের হালকাভাবে নেওয়ার কোন সুযোগই পায়নি। কারণ গ্রুপ পর্বে উরুগুয়ের বিপক্ষে হারলেও রাশিয়া অন্য দুই ম্যাচে দারুণ খেলেছে। কিন্তু স্পেনকে বেশিক্ষণ তারা চাপে রাখতে পারেনি।
ম্যাচের মাত্র ১১ মিনিটের মাথায় আত্মঘাতি গোল খেয়ে পিছিয়ে পড়ে স্বাগতিক রাশিয়া। তবে ম্যাচের ৪১ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে সমতায় ফেরে রাশিয়া। দলটির স্ট্রাইকার ডজুবা গোল করেন ১-১ সমতায় আনেন ম্যাচ। এই সমতায় শেষ হয় প্রথমার্ধ।
প্রথমে জর্বি আলবাকে ফাউল করায় স্পেন বক্সের বাইরে থেকে ফ্রি কিক পায়। তা থেকে হেড করার জন্য গোলের লাইনে থাকা সের্গিও রামোসকে ট্যাকল করেন রাশিয়ার খেলোয়াড়। রামোসকে নিয়ে পড়েই যান ইগনাশিভিচ। আর বল এসে লাগে পায়ে। কোন প্রকার শট বা চাপ তিনি বলে প্রয়োগ করেননি। তাতেই বল ঢুকে গেলো নিজেদের জালে। স্পেন ১-০ গোলের লিড নেয় রাশিয়ার বিপক্ষে।
এরপর ম্যাচের ৪১ মিনিটে রাশিয়ার ক্রস ঠেকাতে লাফিয়ে ওঠেন পিকে। কিন্তু হাতটা রাখেন ওপরে। যাতে করে প্রতিপক্ষ ফুটবলারের হেড করতে অসুবিধা হয়। কিন্তু এটাই হলো কাল। হেড পেয়ে গেলেন রাশিয়ার ফুটবলার এবং তার হেড থেকে বল এসে লাগল পিকের হাতে। পিকে হলুদ কার্ডও দেখলেন। রাশিয়াকে পেনাল্টিও দিয়ে দিলেন। তা থেকে গোল করে সমতায় ফেরে রাশিয়া।