৮ বছরেই বিশ্ববিদ্যালয়ে সিমনস
বেলজিয়ামের বাসিন্দা ৮ বছরের বিস্ময় বালক লরেন্ট সিমনস মাত্র দেড় বছরেই দীর্ঘ ছয় বছরের মাধ্যমিক স্কুলজীবন শেষ করেছে। এবার সে পা বাড়াচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে।
বেলজিয়ামের আরটিবিএফ রেডিওকে দেয়া সাক্ষাৎকারে লরেন্ট জানায়, তার প্রিয় বিষয় গণিত। ‘কারণ গণিত খুবই বিস্তৃত একটা বিষয়। এর মাঝে পরিসংখ্যান, জ্যামিতি বীজগণিত, আরও কতো কি আছে।’
স্কুলের গ্রাজুয়েশনের পর আপাতত দুই মাস ছুটি কাটাচ্ছে লরেন্ট। তারপর সে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাজীবন শুরু করবে।
লরেন্টের বাবা আরটিবিএফের ওই সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে জানান, একেবারে ছেলেবেলা থেকেই তার ছেলের সমবয়সী শিশুদের সাথে মিশতে ও খেলতে কষ্ট হতো। বিশেষ করে খেলনার প্রতি তার তেমন কোনো আগ্রহ ছিল না।
৮ বছরের এই মেধাবী শিশু জানিয়েছে, বড় হয়ে কী হবে, এ নিয়ে সে পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছে। এরই মধ্যে একবার সার্জন (শল্য চিকিৎসক) এবং আরেকবার নভোচারী হওয়ার কথাও ভেবেছে। তবে সেগুলো বাতিল করে আপাতত লরেন্ট কম্পিউটার নিয়ে কাজ করার কথা ভাবছে।
পেশা হিসেবে যেটাকেই বেছে নিক, তাতে আপত্তি নেই লরেন্টের বাবার। তিনি বলেন, ‘ও যদি কাল একজন কাঠমিস্ত্রি হতে চায়, আমাদের তাতে কোনো সমস্যা নেই। ও নিজে সেটা নিয়ে খুশি থাকলেই হলো।’
এই প্রতিভাধর শিশুটির বাবা বেলজিয়ান আর মা ডাচ। জন্মসূত্রে সে বেলজিয়ামের নাগরিক। লরেন্টের বাবা-মা জানিয়েছেন, তার আইকিউ ১৪৫। সে ১৮ বছর বয়সী ছেলেমেয়েদের সাথে একই ক্লাসে লেখাপড়া করে ডিপ্লোমা অর্জন করেছে।