সিসিকের মেয়র প্রার্থীদের ব্যয়সীমা ১৫ লাখ টাকা
আসন্ন সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে প্রচার প্রচারণা বাবদ মেয়র প্রার্থী ও কাউন্সিলর প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় ধার্য করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
মেয়র প্রার্থীরদেরকে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ এবং কাউন্সিলর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে প্রতি ১৫ হাজার ভোটারের বিপরীতে নির্বাচনী ব্যয় এক লাখ টাকা ধার্য করে দেয়া হয়েছে।
তবে কাউন্সিলরদের ক্ষেত্রে প্রতি ১৫ হাজার ভোটারের বিপরীতে ১ লাখ টাকা করে ব্যয় ধার্য্য করা হলেও এর মধ্যে রয়েছে চারটি আলাদা স্তর। এগুলো হলো- সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে মাত্র পাঁচটি ওয়ার্ডে দুই লাখ টাকা করে ব্যয় করতে পারবেন প্রার্থীরা। ওয়ার্ড গুলো- ৫, ৭, ৮, ৯ ও ১০। এছাড়া বাকি ওয়ার্ডের প্রার্থীরা এক লাখ টাকা করে নির্বাচনী ব্যয় করতে পারবেন।
এর মধ্যে ভোটার ১৫ হাজার পর্যন্ত এক লাখ, ১৫ হাজার এক থেকে ভোটার সংখ্যা ৩০ হাজার পর্যন্ত ২ লাখ টাকা, ৩০ হাজার এক থেকে ৫০ হাজার পর্যন্ত চার লাখ এবং ৫০ হাজারের তদূর্ধ্ব ভোটারের ক্ষেত্রে ৬ লাখ টাকা ব্যয় করতে পারবেন কাউন্সিলর প্রার্থীরা।
সিলেট সিটি করপোরেশনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এমদাদুল হক বলেন, মেয়র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১৫ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণ করা আছে। এছাড়া কাউন্সিলর প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ভোটের হিসাবে ৪ ক্যাটাগরিতে নির্বাচনী ব্যয় নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। প্রার্থীর ব্যয় সীমা এর মধ্যেই রাখতে হবে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তার মো. আলীমুজ্জামান বলেন, প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ব্যয় নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনী খরচ এর মধ্যেই রাখতে হবে। নির্বাচনের পর প্রার্থীরা যে ব্যয়ের হিসাব জমা দেবেন, তা তদারকি করবে নির্বাচনী ব্যয় মনিটরিং কমিটি।
প্রসঙ্গত, আগামি ৩০ জুলাই সিসিকের ২৭টি ওয়ার্ডে ১৩৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। -ইউএনবি