২৮ বছর পর সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড
দীর্ঘ ২৮ বছর পর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে উঠেছে ইংল্যান্ড। সুইডেনকে ২-০ গোলে হারিয়ে দীর্ঘ দিনের আক্ষেপ ঘোচাল ইংল্যান্ড।
ইংল্যান্ডের হয়ে প্রথম গোল করেন হ্যারি ম্যাগুইর। ম্যাচের ৩০ মিনিটে কর্নার কিক উড়ে আসা বল হেড করে বল জালে পাঠান তিনি। একাধিক সুযোগ পেয়েও প্রথমার্ধে আর কোনো গোল পায়নি হ্যারি কেনরা। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড। এরপর ম্যাচের ৫৮ মিনিটে ডেলে আলি গোল করে দলকে এগিয়ে নেন।
কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার পথে ইংলিশরা দুর্দান্ত খেলেছে। নিজেদের গ্রুপ থেকে রানার্সআপ হয়ে ওঠা ইংল্যান্ড সুন্দর ফুটবলে সবার মন ভরিয়েছে। অধিনায়ক হ্যারি কেনের ওপরই এ ম্যাচের স্পটলাইট থাকবে। তিন ম্যাচে ছয় গোল করে তিনিই বিশ্বকাপের গোল্ডেন বুট জেতার সবচেয়ে বড় দাবিদার।
তবে সুইডেনকে হিসাব থেকে বাদ দিলে ভুল হবে। জার্মানির গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছিল সুইডেন। শেষ ষোলোর ম্যাচে সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ে শেষ আটে এসেছে সুইডিশরা।
অতীতে সর্বমোট ২৪ বার মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড-সুইডেন। যার মধ্যে সাতটিতে জয় পেয়েছে সুইডেন, আটটিতে জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। বাকি নয় ম্যাচ ড্র হয়। ২০০২ ও ২০০৬ সালে বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে মুখোমুখি হয়েছিল ইংল্যান্ড ও সুইডেন। দুবারের দেখায়ই ড্র হয়। ২০০২ সালে ১-১। ২০০৬ সালে ২-২। ২০১২ সালে শেষ দেখা হয়েছিল এই দুই দলের। সেবারে ৪-২ গোলে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছিল সুইডেন। চারটি গোলই করেন ফরোয়ার্ড জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচ।
ইংল্যান্ড একাদশ: জর্ডান পিকফোর্ড (গোলরক্ষক), কাইল ওয়াকার, জন স্টোনস, হ্যারি ম্যাগুইরে, কেইরান ট্রিপার, অ্যাশলে ইয়াং, হেসে লিনগার্ড, জর্দান হেন্ডারসন, ডেলে আলি, হ্যারি কেইন (অধিনায়ক), রাহিম স্টার্লিং।
সুইডেন একাদশ: রবিন ওলসেন (গোলরক্ষক), ভিক্টর নিলসন লিন্ডেলফ, আন্দ্রেস গ্রাঙ্কভিস্ট (অধিনায়ক), লুইডউইগ অগাস্টিনসন, এমিল ক্রাফথ, সেবাস্তিয়ান লারসন, আলবিন একদাল, এমিল ফরসবার্গ, ভিক্টর ক্লায়েসন, মার্কাস বার্গ, ওলা তোইভোনেন।