ব্রেক্সিট বিষয়ক সচিবের পদত্যাগ
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মের সঙ্গে মতদ্বৈততার কারণে পদত্যাগ করেছেন দেশটির ব্রেক্সিট বিষয়ক সচিব ডেভিড ডেভিস।
প্রধানমন্ত্রী মের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা মন্ত্রিসভার অনুমোদন পাওয়ার দুই দিনের মাথায় ডেভিসের পদত্যাগের এই খবর এল।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়ার বিষয়ে দর কষাকষির দায়িত্ব দিয়ে ডেভিড ডেভিসকে ২০১৬ সালে মন্ত্রিসভায় আনেন টেরিজা মে।
৮ জুলাই রবিবার ডেভিসের পর তার দপ্তরের উপমন্ত্রী স্টিভেন বেকারও পদত্যাগ করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বিবিসি।
গার্ডিয়ান লিখেছে, প্রধানমন্ত্রী মে তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে সোমবার পার্লামেন্টের মুখোমুখি হওয়ার আগে ডেভিসের এই পদত্যাগ সরকারের জন্য একটি বড় ধাক্কা হয়ে এল।
পদত্যাগপত্রে ডেভিস লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী মে যে নীতি আর কৌশল নিয়ে অগ্রসর হচ্ছেন তাতে ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়তে পারবে বলে তার মনে হচ্ছে না।
জবাবে টেরিজা মে লিখেছেন, শুক্রবার মন্ত্রিসভার সম্মতি পাওয়া প্রস্তাবকে যে ভাষায় ডেভিস বর্ণনা করেছেন, তার সঙ্গে তিনি একমত নন।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ডেভিস সরে যাওয়ায় তিনি দুঃখ পেয়েছেন। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য যে দায়িত্ব তিনি এতদিন পালন করেছেন, সেজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাতে চান।
রক্ষণশীল দলের এমপি পিটার বোন পদত্যাগের সিদ্ধান্তের জন্য ডেভিসকে বাহবা দিয়ে বলেছেন, নীতি বাঁচাতে এটা তার সাহসী পদক্ষেপ।
বোনের ভাষায়, ব্রেক্সিট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মের প্রস্তাব কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
অন্যদিকে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ইয়ান লেভরি বলেছেন, সরকারে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়েছে, ডেভিসের পদত্যাগের পর টেরিজা মের হাতে কোনো কর্তৃত্বই আর থাকতে পারে না।
আর লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের সামর্থ্য টেরিজা মের নেই।
২০১৬ সালের গণভোটে ব্রিটেনের জনগণ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দেয়। এই বিচ্ছেদকেই বলা হচ্ছে ব্রেক্সিট, যা ২০১৯ সালের মার্চের মধ্যে শেষ করতে দুই পক্ষের মধ্যে দর কষাকষি চলছে।