ট্রাম্পের সাক্ষাৎকারে বিব্রত থেরেসা মে
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বহুদিন ধরেই বলে আসছেন, তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যিক সম্ভাবনা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। তবে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ট্রাম্পের সাক্ষাৎকারের পর বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন থেরেসা মে। ট্রাম্পের সদ্য প্রকাশিত এই সাক্ষাৎকার থেরেসার জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।
সাক্ষাৎকার প্রকাশের দিনই যুক্তরাজ্য সরকার ইইউ-এর সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে, সেটা নিয়ে একটি নীতি প্রকাশ করে। এতে দেখা যায়, ইইউ’র সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক অব্যাহত রাখা হয়েছে। উত্তর আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে সীমান্তে কড়াকাড়িও নেই।
ট্রাম্প আগেও বলেছিলেন, ব্রিটিশ নাগরিকরা যেই ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, সেটা তারা পাচ্ছে না। আর থেরেসার দাবি, ‘আমরা ইইউয়ের সঙ্গে এমন এক চুক্তিতে যাচ্ছি, যার মাধ্যমে ব্রিটিশ জনগণ যা চেয়েছিল, তার বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।’
ব্রিটিশ দৈনিক সানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্যবান্ধব ব্রেক্সিটের যে পরিকল্পনা করেছেন তাতে তাদের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ‘মাঠে মারা’ যেতে পারে। “যদি তারা এ ধরনের (ব্রেক্সিট) চুক্তি করে, সেক্ষেত্রে আমরা বরং যুক্তরাজ্যের পরিবর্তে ইউরোপীয় ইউনিয়েনের সঙ্গে চুক্তি করবো। তাই হয়তো (যুক্তরাজ্যের সঙ্গে) ওই চুক্তি আর হবে না।”
ব্রেক্সিট নিয়ে তার পরামর্শ না মানায় মে কে কিঞ্চিৎ তিরস্কার করে ট্রাম্প বলেন, “আমি হলে অনেটাই অন্যরকম ভাবে এটা করতাম। আমি আসলে থেরেসা মে কে এটা কিভাবে করবেন সেই বিষয়ে সরাসরি পরামর্শ দিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি আমার পরামর্শ গ্রহণ করেননি।”
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলছে, ট্রাম্পের সদ্য প্রকাশিত এই সাক্ষাৎকার থেরেসার জন্য বিপদের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির রাজনীতি বিষয়ক সম্পাদক লরা কুজেনবার্গ বলেন, থেরেসা মে সবসময়েই দাবি করছিলেন ব্রেক্সিট পরবর্তী পরিকল্পনায় তাদের বাণিজ্যের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে।