প্রতিমন্ত্রী পলকের পরিবারে ৫ সদস্যের মৃত্যু
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের পরিবারের ৫ সদস্য ৫ দিনে মারা গেছেন। এর মধ্যে তাঁর ভাতিজি কেয়া খাতুন ও তার দুই শিশু সন্তান রায়সা খাতুন এবং আহানাব রেহানের মৃত্যুতে নাটোরের সিংড়ার সর্বত্রই চলছে শোকের মাতম। তাছাড়া গত ১৮ জুলাই ওই পরিবারের আরো দুই ভাইয়ের একই দিনে মৃত্যু হয়। এতে গত ৫দিনে প্রতিমন্ত্রী পলকের দুই খালাতো ভাই, ভাতিজি ও নাতি-নাতনীর মৃত্যুতে সিংড়া উপজেলায় যেন শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সূত্রে জানা যায়, রোববার বিকেলে রাজশাহীর গোদাগাড়ী এলাকায় ট্রাক ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রতিমন্ত্রী পলকের ভাতিজি কেয়া খাতুন (৩০) ও তার দুই শিশু সন্তান রায়সা খাতুন (৫) আহানাব রেহান (৪) এর ঘটনাস্থলেই মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। পরে মাইক্রোবাস চালক শ্রী পুলক সরকারেরও মৃত্যু হয়।
এসময় কেয়া খাতুনের স্বামী চাপাইনবাবগঞ্জ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আলমগীর হোসেন ও বাড়ির কাজের মেয়ে গুরুতর আহত হয়। তাদেরকে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে সোমবার সকাল ১১ টায় সিংড়া কোর্ট মাঠে প্রতিমন্ত্রী পলকের ভাতিজি কেয়া খাতুন ও তার দুই শিশু সন্তানের জানাজা শেষে বালুয়া বাসুয়া কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
অপরদিকে মাইক্রেবাস চালক শ্রী পুলক সরকারকে সিংড়া উপজেলার মাগুড়া গ্রামে দাহ করা হয়েছে। মৃত্যুর খবরে ছুটে আসেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী অ্যাড. জুনাইদ আহমেদ পলক, উপজেলা চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তা, স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ। এসময় পুরো এলাকাজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে।
এছাড়া গত ১৮ জুলাই ৫ঘন্টার ব্যবধানে প্রতিমন্ত্রী পলকে খালাতো দুই ভাই আলহাজ্ব আবুল কালাম আজাদ ওরফে নজু ও আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া হ্নদ যন্ত্রে কিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যু বরণ করেন।