ব্রিটেনে রেকর্ড সংখ্যক মুসলিমবিদ্বেষী হামলা
ব্রিটেনে গত বছর রেকর্ড সংখ্যক মুসলিম বিরোধী হামলা এবং নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগ মুসলিম নারীই কিশোর-তরুণদের অপ্রত্যাশিত লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে। মনিটরিং গ্রুপ ‘টেল মামা’র প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। পর্যবেক্ষণকারী গ্রুপটির বার্ষিক প্রতিবেদনে অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি ইসলাম বিদ্বেষী হামলার ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। ২০১৭ সালে তাদের প্রতিবেদনে মোট ১,২০১টি হামলার ঘটনা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। যা পূর্ববর্তী বছরের বছরের চেয়ে ২৬ শতাংশ বেশি এবং গ্রুপটি এসব ঘটনা সংরক্ষণ করার পর থেকে এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, গত বছর লন্ডন এবং ম্যানচেস্টারে সন্ত্রাসী হামলা মুসলমান বিরোধী ঘৃণা ব্যাপক হারে বেড়েছে। গ্রুপটির বার্ষিক প্রতিবেদনে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকেও সমালোচনা করা হয়েছে। কনস্টেবুলারির ইন্সপেক্টর এবং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ সার্ভিস সাম্প্রতিক ঘৃণা অপরাধগুলির মোকাবেলা করতে বড় ধরনের ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তেল মামা বলছে, ঘৃণা অপরাধের ঘটনাগুলির অধিকাংশ ক্ষেত্রে দুর্বল রেকর্ডিংয়ের কারণে ভিকটিমরা হতাশ হয়ে যায়। তেল মামার পরিচালক ইমাম আতা বলেন, ‘এসব ক্ষেত্রে ভিকটিমের কণ্ঠস্বর এবং ন্যায়বিচারের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের জন্য ফলাফল সুখকর নয়।’
গত বছর দেশটিতে অফলাইনে মোট ৮৩৯টি আক্রমণ এবং অপব্যবহারের ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। যা পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি। স্ট্রিট লেভেল বা রাস্তায় গত বছর ৬৪২টি ঘটনা ঘটে। এ ছাড়াও, অনলাইনে আক্রমণ আগের বছর তুলনায় ১৬.৩ শতাংশ বেড়েছে। ম্যানচেস্টার এরিনায় একটি আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণের পর ২৩ জন নিহত হয়েছিল। ওই হামলার পর ঘৃণাত্মক বক্তব্য এবং অপমানজনক আচরণসহ ৭০টিরও বেশি ইসলাম বিদ্বেষী ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে।
নারীর সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করা আকিলা আহমেদ বলেন, ‘২৬ শতাংশ ঘৃণা অপরাধ বৃদ্ধির বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। ঘৃণা অপরাধ বেড়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। যদিও অনেক মানুষ বিশেষ করে মুসলিম নারীরা ইসলামোফোবিক ঘটনাগুলি নিয়ে রিপোর্ট করতে আগ্রহ দেখান না।’