রাজশাহী ও বরিশালে ভোটের আগে নেমেছে বিজিবি
ভোটের দুদিন আগে স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসাবে রাজশাহী ও বরিশাল সিটি করপোরেশন এলাকায় নেমেছেন বিজিবি সদস্যরা। বিএনপি এই দুই নগরে সেনা মোতায়েনের দাবি জানালেও স্থানীয় সরকারের এই নির্বাচনে পুলিশ, আনসারের সঙ্গে বিজিবিকেই যথেষ্ট মনে করছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভোট ঘিরে তিন মহানগরে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, আনসার-ভিডিপির প্রায় ১৫ হাজার সদস্য।
বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা মহসিন রেজা বলেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনে ১৫ প্লাটুন এবং বরিশালে ১৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। গতকাল ২৮ জুলাই থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত এই ৪৪ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মাঠে থাকবে বলে জানান তিনি। মহসিন রেজা বলেন, প্রয়োজনে আরও বিজিবি মোতায়েনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
ভোটের প্রচার শেষ হওয়ার ১৭ ঘণ্টা আগে গতকাল শনিবার সকাল ৭টা থেকে রাজশাহী নগরে ১৫ প্লাটুন বিজিবি নেমেছে বলে জানিয়েছেন বিজিবি-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামীম মাসুদ আল ইফতেখার। তিনি জানান, “ মোট ১৯ প্লাটুন বিজিবি সদস্য ভোটের জন্য রাজশাহী নগরীতে থাকবে। ১৫ প্লাটুন থাকবে টহলে। বাকি ৪ প্লাটুন রিজার্ভ ফোর্স হিসাবে রাখা হবে।”
রাজশাহীতে ১৪০০ পুলিশ, ১৯৩২ আনসার ও ৪৫০জন র্যাব সদস্যের সমন্বয়ে নিরাপত্তা পরিকল্পনা করেছে ইসি।
বরিশাল নগরীতেও সকাল থেকে টহলে দেখা গেছে বিজিবি সদস্যদের।
বরিশাল সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুজিবুর রহমান জানান, নির্বাচনের দিন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৭ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। ১৯ প্লাটুন বিজিবি বরিশালে এসেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ১৫ প্লাটুন সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবে। বাকি ৪ প্লাটুন রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে রাখা হয়েছে। প্রয়োজনে তাদের মাঠে নামানো হবে।
বরিশাল র্যাব-৮ এর উপপরিচালক মেজর সোহেল রানা জানান, র্যাবের ৩৪টি দল নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে। প্রতিটি দলে আটজন করে সদস্য রয়েছে।
পুলিশ কমিশনার কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে, ২ হাজার ১৩ জন পুলিশের পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করবে ১৫৬ জন আর্মড পুলিশ সদস্য। এছাড়া ২ হাজার ১৫৯ জন আনসার সদস্য নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবে।