লন্ডনেও ভিড়-গাদাগাদি-ঠেলাঠেলি
যোগাযোগের ক্ষেত্রে গণপরিবহনের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। আর গণপরিবহন মানেই ভোগান্তির একশেষ। সে বাস-ই হোক আর ট্রেন-ই হোক। বসার পর্যাপ্ত আসন নেই। গাদাগাদি-ঠাসাঠাসি-ঠেলাঠেলি, নড়া যায় না ঘোরা যায় না, এমনকি ভালো করে নিঃশ্বাসও নেয়া যায় না। তার ওপর ভ্যাপসা গরম। জান বের হওয়ার জোগাড়। তবে এ অবস্থা শুধু তৃতীয় বিশ্বের অনুন্নত দেশগুলোতে নয়। ভিড়-গাদাগাদি-ঠেলাঠেলি ফার্স্ট ওয়ার্ল্ডের দেশ ব্রিটেনেও হয়।
লন্ডনের মেট্রো রেলে তো হরহামেশাই দেখা যায়। লন্ডনের গণপরিবহন ব্যবস্থা অনেক উন্নত সন্দেহ নেই। গণপরিবহনের মধ্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির বাস ও আন্ডারগ্রাউন্ড কমিউটার ট্রেনই প্রধান। কম খরচে অফিস-আদালত আর দূরের পথে একমাত্র ভরসা এগুলোই। কিন্তু শান্তি নেই। বাস হোক আর কম্পিউটার ট্রেন হোক সবখানে প্রচন্ড ভিড়। গাদাগাদি-ঠেলাঠেলি। এর ওপর চামড়া সিদ্ধ করা ফোস্কা গরম। প্রচন্ড গরমে ঘেমে-নেয়ে একাকার। শহরের অধিবাসীরা তাই যারপরনাই ক্ষুব্ধ।
ডেইলি মেইলের সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লন্ডনের আন্ডারগ্রাউন্ড কমিউটার ট্রেনে ভিড়ভাট্টা আর ঠেলাঠেলি এখন স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত হয়েছে। ভিড়ের সঙ্গে সম্প্রতি যোগ হয়েছে প্রচন্ড গরম। চলতি সপ্তাহে ট্রেনগুলোর ভেতরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। গত কয়েক দিনে এই তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত (৯৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। এটা মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রার কাছাকাছি। গায়ের জামা-কাপড় ভিজে যাচ্ছে এই গরমে। খুব ক্যাজুয়াল পোশাকে ট্রেনে উঠলেও তাই ঘেমে-নেয়ে নামতে হচ্ছে। একটু বাঁচতে তাই যাত্রীরা সঙ্গে রাখছেন হাতপাখা, পানির বোতল।