মার্কিন-ইইউ বিরোধ চরমে
ইরানের বিরুদ্ধে মার্কিন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ নিয়ে তীব্র আপত্তি দেখিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন (ইইউ)। সংস্থাটির কিছু কর্মকর্তা এমনকি ট্রাম্পের পদক্ষেপকে ‘অবৈধ’ ও নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেও আখ্যা দিয়েছেন। ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অকার্যকর করতে ও ইরান পারমাণবিক চুক্তি অক্ষুন্ন রাখতে পদক্ষেপ বৃদ্ধি করারও অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে ইইউ। এ খবর দিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকো।
এক সংবাদ সম্মেলনে ইউরোপিয়ান কমিশনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা দৃশ্যত মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। তারা বলছেন, ইইউর সুরক্ষামূলক আইনের মাধ্যমে যেসব ইউরোপিয়ান কোম্পানি ইরানের সঙ্গে ব্যবসা করছে, তারা মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে হওয়া ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবে। এক্ষেত্রে তাদের আইনি লড়াইয়ের খরচসহ তাদের ক্ষয়ক্ষতি দিতে বাধ্য থাকবে মার্কিন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো, যাদের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র আর্থিক নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করে থাকে।
আরেক কর্মকর্তা বলেন, এটি মনে করাও গুরুত্বপূর্ণ যে ইরান চুক্তি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনা নম্বর ২২৩১-এর অংশ। সেই হিসাবে আমরা নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবনাই সমুন্নত রাখছি। আন্তর্জাতিক আইনে এই প্রস্তাবনার আইনি ভিত্তি যে কী, সেটি আমরা সবাই জানি। ইইউ ও ইউরোপের তিন শক্তিধর দেশ জার্মানি, ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্য ইরান পারমাণবিক চুক্তি অক্ষুন্ন রাখতে জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্র নিজের শক্তিশালী ন্যাটো মিত্র ত্রয়ের সঙ্গে সরাসরি বিরোধে জড়িয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর ওয়াশিংটন ও ইউরোপের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়েই বিরোধ দেখা গেছে। তবে ইরান চুক্তি নিয়ে মতদ্বৈততা ছাড়িয়ে গেছে সবকিছুকে। এর আগে মে মাসে ট্রাম্প এককভাবে পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করেন। ইউরোপের তিন দেশ সহ চুক্তির অবশিষ্ট দুই আংশীদার রাশিয়া ও চীন বারবার চুক্তি অক্ষুন্ন রাখতে স্ব-অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে। দেশগুলো বলছে, আন্তর্জাতিক আণবিক জ্বালানি সংস্থা বারবার পরিদর্শন করে জানিয়েছে ইরান চুক্তি মেনে চলছে।