সিলেটের প্রবীণ আলেম আল্লামা বারকুটি হুজুরের ইন্তেকাল
সিলেটের আজাদ দ্বীনি এদারায়ে তালিম বাংলাদেশের সাবেক সভাপতি, কেন্দ্রীয় জমিয়তের সাবেক সহ-সভাপতি ও সিলেট জেলা জমিয়তের উপদেষ্টা শায়খুল হাদীস আল্লামা হুসাইন আহমদ বারকুটি হুজুর শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন।
মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। তিনি স্ত্রী, ৫ ছেলে, ৩ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন, ভক্তঅনুরাগী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে সিলেটে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
শাইখুল হাদিস আল্লামা হুসাইন আহমদ বারকুটি ১৩৪৭ হিজরি মোতাবেক ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দের ১৫ ই ফেব্রুয়ারি বর্তমান সিলেট জেলার ঐতিহ্যবাহী গোলাপগঞ্জ উপজেলাধীন ‘বারকোট’ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
বর্ষীয়ান এই আলেমে দীন ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে সিলেট দরগাহ মাদরাসা, জগন্নাথপুরের সৈয়দপুর দারুল হাদীস মাদরাসা, নিজ এলাকা গোলাপগঞ্জের বাবকুট মাদরাসাসহ সিলেটের শীর্ষপর্যায়ের বিভিন্ন মাদরাসায় বুখারী শরীফের দরস প্রদান করে আসছিলেন।
এছাড়ও তিনি ‘জামেয়া ইসলামিয়া বারকোট’-এর মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করেছেন। পাশাপাশি তিনি দীর্ঘদিন পূর্ববাংলার সর্বপ্রাচীন ‘বেসরকারি মাদরাসাশিক্ষা বোর্ড’ আযাদ দীনি এদারায়ে তা’লিম বাংলাদেশ-এর সভাপতির দায়ত্বি পালন করেছেন।
কেন্দ্রীয় জমিয়তের শোক প্রকাশ: আল্লামা হোসাইন আহমদ বারকুটি ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সভাপতি আল্লামা আব্দুল মোমিন শায়খে ইমামবাড়ী ও মহাসচিব আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী।
জমিয়তের উভয় শীর্ষ নেতা আজ এক শোকবার্তায়, মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করে বলেন“ আল্লামা হোছাইন আহমদ বারকুটি ছিলেন এ দেশের একজন শীর্ষ আলেমে দ্বীন, দীনের বিভিন্ন শাখায় তার অবদান ছিল অতুলনীয়।
তারা বলেন, তিনি আজীবন জমিয়তের কাজে সক্রিয় ভুমিকা পালন করেছেন।তাদের মুখলিসআনা তৎপরতার কারনে জমিয়ত আজ একটি মকবুল দল হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি, তিনি যেন হযরাতকে জান্নাতুল ফেরদাউস নছিব করেন।
সাবেক এমপি শাহীনূর পাশা চৌধুরীর শোক: শায়খুল হাদীস আল্লামা হোসাইন আহমদ বারকুটির ইন্তেকালে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নেতা, মাসিক তৌহিদী পরিক্রমা সম্পাদক, সাবেক এমপি এডভোকেট মাওলানা শাহীনূর পাশা চৌধুরী।
এক শোকবার্তায় সাবেক এমপি শাহীনূর পাশা মরহুমের রোহের মাগফিরাত কামনা করে বলেন, বারোকুটি হুজুর আমার প্রিয় উস্তাদগনের অন্যতম ছিলেন। তাঁর জ্ঞান ও পান্ডিত্যের কাছে অনেকেই হেরেছেন। তিনি বৃহত্তর সিলেটের এক রত্নছিলেন। তার স্থান পূরণ হবার নয়। একজন সাহসী সিপাহসালারকে হারালো জমিয়ত। আমি হারালাম আমার একজন অভিভাবক। দেশ বিদেশে হুজুরের হাজারো ছাত্র রয়েছেন। লাখো শুভানুধ্যায়ীদের এতিম করে তার এই চলে যাওয়া আমাদের অশনি সংকেত। ‘‘মউতুল আলিমে কা’ মাউতুল আলম।”