লন্ডন প্রবাসী সাঈদ চৌধুরীকে অপহরণের চেষ্টা
ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সংরক্ষিত এলাকা থেকে সাঈদ চৌধুরী নামে একজন লন্ডন প্রবাসীকে অপহরণের চেষ্টা করা হয়েছে। ১২ আগস্ট রবিবার দুপুরে বিমান বন্দরের ডোমেস্টিক টার্মিনালে এই ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, এক্সেলসিয়র সিলেট হোটেল এন্ড রিসোর্টের প্রতিষ্ঠাতা ম্যানেজিং ডাইরেক্টর সাঈদ চৌধুরী ও রিসোর্টের ভাইস চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ূম রবিবার বিমানযোগে সিলেট থেকে ঢাকায় শাহজালাল বিমানবন্দরে এসে নামেন দুপুর পৌনে ১২টার দিকে। তারা ডোমেস্টিক টার্মিনালে আসলে প্রথমে দুইজন সাঈদ চৌধুরীকে কুশলাদি জিজ্ঞাসা করে। পরে যোগ হয় আরও একজন। একপর্যায়ে কোনো কথা না বলে সাঈদ চৌধুরীকে তুলে নিয়ে যেতে চায়। তিনি তখন জোর করে বিল্ডিংয়ের ভেতরে ঢুকার চেষ্টা করেন। এসময় আরো দুজন এদের সাথে যোগ দেয় এবং সাঈদ চৌধুরীকে প্রায় শূণ্যে তুলে অচেনা একটি গাড়িতে নিয়ে ঢুকায়। তখন সাঈদ চৌধুরীর চিৎকারে এম এ কাইয়ূম এবং আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে অপহরনকারীদের ঘিরে ফেলেন।
এ সময় কর্তব্যরত এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ান (এপিবিএন) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপর সবাইকে বিমানবন্দর থানা পুলিশে সোপর্দ করে এপিবিএন পুলিশ।
তবে পুলিশ বলছে, এক্সেলসিয়র সিলেট হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টের মালিকানা সংক্রান্ত পাওনা টাকা আদায় নিয়ে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ উভয় পক্ষকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারে, তাদের মধ্যে টাকা-পয়সার লেনদেন ছিল। সে কারণেই এ ঘটনা ঘটে।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম বলেন, এখানে অপহরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাদের মধ্যে টাকা পাওয়া নিয়ে ঝামেলা ছিল। পরে সমঝোতা হলে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, সিলেটে বিনিয়োগের নামে প্রবাসীদের কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। ‘এক্সেলসিয়র সিলেট লিমিটেড’ নামের কোম্পানির এমডি সাঈদ চৌধুরীসহ কয়েকজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছেন একাধিক প্রবাসী। প্রায় অর্ধশতাধিক লন্ডন প্রবাসী এক্সেলসিয়র সিলেট লিমিটেডে বিনিয়োগ করেছেন। এর মধ্যে পরিচালক থেকে ৫০ থেকে ৬২ লাখ এবং শেয়ারহোল্ডার থেকে পাঁচ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত তাদের অনেকেই দিয়েছেন। যার সমুদয় টাকা কোম্পানির এমডি সাঈদ চৌধুরীর মাধ্যমে সংগ্রহ করে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। কিন্তু আজ পর্যন্ত বিনিয়োগ কারীরা কোনও মুনাফা পাননি, উপরন্তু বিনিয়োগের টাকা (মূলধন) হারানোর ভয়ে রয়েছেন লন্ডন প্রবাসী বিনিয়োগ কারীরা।
এই কোম্পানির বিরুদ্ধে একটি ভূমি দেখিয়ে একাধিক ব্যাংক থেকেও ঋণ নেয়ার চেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। এ নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। প্রবাসীরা মনে করেন বিনিয়োগ করে যদি স্বচ্ছতা না থাকে তাহলে প্রবাসীরা দেশে বিনিয়োগের আগ্রহ হারিয়ে ফেলবেন।