ব্যথামুক্ত নরমাল ডেলিভারি শুরু করলো ইমপালস হাসপাতাল

mother-deleveryবাংলাদেশে এই প্রথম ব্যথামুক্ত নরমাল ডেলিভারি শুরু করলো ইমপালস হাসপাতাল। এতে খচর হবে ৩০-৩৫ হাজার টাকা। হাসপাতালটির এমন উদ্যোগে দেশে অপ্রয়োজনীয় সিজারে বাচ্চা প্রসব কমবে মলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। মাতৃত্ব নিয়ে আমরা একটি শোষণে আছি। এ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়লে কিছুটা হলেও শোষণ কমবে।
গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও এ অবস্থিত ইমপালস হাসপাতার এ সেবার উদ্বোধন করে। হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রফেসর ডা.জহির আলামিনের সভাপতিত্বে এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ, বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবির। এসময় বক্তব্য রাখেন, গাইনি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা.নিয়াজ টি পারভিন, অধ্যাপক ডা. মাহমুদুর রহমান খন্দকার লাইজু প্রমুখ। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ডা. ফারহানা আহম্মেদ।
আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ বলেন, ছোট বেলায় মা মাষিদের কষ্ট দেখলে মনে হতো আল্লাহ কেন মাতৃত্বের এতো কষ্ট দিলো। প্রকৃতি কি লেবার পেইন ছাড়া সন্তান জম্ম দিতো পারতোনা। আল্লাহ আমাকে মেয়ে না বানিয়ে অনেক ভালো করেছে। কিন্তু না কোন কিছু গভীরভাবে পেতে হলো ব্যথা লাগে। প্রকৃতি একটি বিবেচক। আমরা হাইব্রিড খেতে খেতে প্রকৃতির স্বাদ ভুলে গেছি। প্রকৃতির এই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা পৃথিবীর এই অবস্থা এসে পৌঁছেছি।
তিনি আরও বলেন প্রযুক্তির এই যুগে নারী পুরুষের পার্থক্য অনেক কমেছে। এখন আর পুরুষের শক্তির আগের মত মূল্য নেই। নারী কয়টি সন্তান নেবে এটি তার ইচ্ছার ওপর নির্ভর করতো। এমনকি ব্রিটেনের নারীকেও আস্টম সন্তান জম্ম দিতে হতো। এতে তার কিছুই করার ছিলনা। কারণ নারী কাজ ছিল শুধু উৎপাদন করা। কিন্তু আজ নারী পুরুষে সমানে সমান।
তিনি বলেন, মানুষ নিজের ভুল কমাতে প্রযুক্তির অনেক উন্নতি ঘটিয়েছে। প্রযুক্তির অনেক বিকাশ হয়েছে। আমি প্রযুক্তির পক্ষে। অবস্থা এমন দাড়িয়েছে যে রোগী চায় সিজার আর ডাক্তার চায় সিজার আরও আগে। মাতৃত্ব নিয়ে আমরা গোটা জাতি আজ একটি শোষণে আছি। এ প্রযুক্তির মাধ্যমে কিছুটা হলেও শোষণ কমবে।
অধ্যাপক জহির আলামিন বলেন উন্নত বিশ্বে এ প্রযুক্তির ব্যবহার অনেক আগেই শুরু হয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের এখনও অনেক পিছিয়ে রয়েছে। এতে করে আমাদের নারী সমাজ এখনও প্রসব বেদনার কারণে সন্তান নিতে সাহস পাচ্ছে না। আর এটিকে পুজি করে এক শ্রেণীর ডাক্তার ব্যবসা করছে। এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে আমরা কাজ করছি। এতে আমরা প্রায় শতভাগ সফল হয়েছি। সারা দেশে সচেতনতা বৃদ্ধি পেলে ব্যথামুক্ত নরমাল ডেলিভারির সংখ্যার বাড়বে। আর সিজারের সংখার দিন দিন কমবে। বর্তমানের এ পদ্ধতিতে খরচ কিছুটা বেশি কারণ হিসেবে তিনি বলেন, সবাই এ পদ্ধতির খবর জানে না। এতে করে রোগীর সংখ্যার খুবই কম। রোগী বাড়লে খরচ অনেক কমবে। কারণ এ পদ্ধতিতে সার্বক্ষণিক এক দল ডাক্তার উপস্থিত থাকতে হচ্ছে। একই সাথে গ্রুপভিত্তির ডেলিভারি করা গেলে খরচ আরও কমবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button