লন্ডনে বাড়ির দাম কমেছে ৭ ভাগ

UKব্রেক্সিট জটিলতায় ব্রিটেনে বাড়ির দাম কমেছে গত মাসে শূণ্য দশমিক ২ ভাগ। আর লন্ডনে প্রতিবছরে বাড়ির দাম কমছে ৭ ভাগ হারে। ইইউ বা ইইউ নয় এমন নাগরিকদের কাছেও বাড়ির চাহিদা কমে গেছে। তাই মন্থর গতি দেখা দিয়েছে ব্রিটেনের আবাসন খাতে। বাড়ির বিক্রি কমায় কমে গেছে দামও। এসব মিলিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকেই দেশটির আর্থিক খাতে দেখা দিয়েছে ধীরগতি। ভোক্তাখরচ কমায় অনেকটাই স্থবির হয়েছে দেশটির উৎপাদন খাত। সবশেষ ধীরগতি এসেছে দেশটির আবাসন খাতেও। যদিও এর জন্য ব্রেক্সিটকে দায়ী করতে নারাজ বিশ্লেষকরা। ফ্রান্সের বিনিয়োগ ব্যাংক সোসাইটি জেনারেলের অর্থনীতিবিদ অ্যালবার্ট এডওয়ার্ডস বলেছেন, ব্রিটেনে বাড়ির দর আরো হ্রাস পেতে পারে। বরং ফ্লাটের চাহিদা ও দাম গত এক দশকে ৫০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কমার্জ ব্যাংক অর্থনীতিবিদ পিটার ডিক্স বলেন, ‘আপনি যদি বাজারের আদ্যোপান্ত দেখেন তাহলেই বুঝতে পারবেন অনেকেই ভাবছে যে বাজারে এ পরিস্থিতি ব্রেক্সিট আতঙ্কেই সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু আবাসন খাতের ধীরগতির জন্য আমরা ব্রেক্সিটকে পুরোপুরি দায়ী করতে পারি না। আসলে আবাসন খাতে ব্যবহৃত পণ্যের সরবরাহ সংকট রয়েছে। এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ চাহিদাটাও বড় একটা ব্যাপার।’
অর্থনীতিবিদ পিটার ডিক্স আরও বলেন, ‘যদি ব্রিটেন ইইউ থেকে পুরোপুরি বেরিয়ে যায় তাহলে অভিবাসী আসার হারটা কিছুটা কমবে। সেই সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর আবাসন খাতও চাঙা হতে পারে।’
এছাড়া ব্যাংক অব ইংলান্ডের সহজ মুদ্রানীতির কারণে আবাসিকখাতে সুদের হার ছিল দশমিক শূণ্য দুই পাঁচ থেকে দশমিক ৫ ভাগ। এমনকি অভিবাসন নীতিতে এমন কিছু পরিবর্তন করা হয় যাতে ব্রিটেনের রিয়েল এস্টেট খাতে বিনিয়োগ ধাবিত হয়। ২০০৯ সালের পর রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় ব্যাপক প্রবৃদ্ধিও ঘটে। হ্যালিফ্যাক্স’এর তথ্য বলছে ২ লাখ ৩০ হাজার পাউন্ডের একটি বাড়ির দাম আগামী কয়েক মাসে আরো ৩০ হাজার পাউন্ড হ্রাস পাবে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button