১৫ই আগস্টের সাথে জড়িত জিয়াউর রহমান
আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৫ আগস্টের হত্যার ষড়যন্ত্রের সঙ্গে শুরু থেকেই জড়িত ছিলো জিয়াউর রহমান। তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। জিয়া এবং তার স্ত্রী নিয়মিত বঙ্গবন্ধুর কাছে যেতেন, সেটাও হয়তো ষড়যন্ত্রের অংশ ছিলো। সে কারণেই তদন্তে বাধা দিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে আওয়ামলীগ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। তার কারণেই দেশে একের পর এক ক্যু হয়েছে। স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করে ভিন্ন পথে দেশকে নেয়ার চক্রান্ত করেছেন জিয়া। মার্শাল ল দিয়ে সংবিধান লংঘন করে যে ক্ষমতায় এসেছিল, সে কীভাবে বহুদলীয় গণতন্ত্র উপহার দিতে পারে প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার আত্মস্বীকৃত খুনীদের ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন জিয়ার স্ত্রী, তাই তিনিও ১৫ আগস্টের হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি।
পাহাড়সম জনপ্রিয়তাই বঙ্গবন্ধুর জন্য কাল হয়েছিল বলে মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘খুনিরা সাক্ষাৎকারে বলেছে শেখ মুজিব এত বেশি জনপ্রিয়, শত চেষ্টা করেও তাঁর জনপ্রিয়তা কমানো যায়নি। যার কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর থেকে মিথ্যা অপপ্রচার শুরু হয়েছিল। জনগণকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা হয়েছে। কর্নেল রশিদ-ফারুকরা বলেছিল, শেখ মুজিব এত বেশি জনপ্রিয়, শত চেষ্টা করেও তাঁর জনপ্রিয়তা কমানো যায়নি। যার কারণে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘গণতন্ত্র দিয়েছে বলে অনেকে জিয়াউর রহমানকে বাহবা দেয়ার চেষ্টা করেছে। আমার প্রশ্ন, জিয়াউর রহমান কিভাবে ক্ষমতায় এসেছিলেন? অস্ত্রের মুখে বিচারপতি সায়েমকে হটিয়ে নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করলেন। পাকিস্তানের এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন তিনি। গুম আর হত্যা করাই তো ছিল জিয়াউর রহমানের কাজ। হাজার হাজার সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছেন তিনি।’
কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ভর করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার পেছনে স্বাধীনতাবিরোধী সবুর খানের বংশধররা জড়িত বলে দাবি করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে, তারা তো এদেশের উন্নয়ন চায় না। কোমলমতি স্কুল শিক্ষার্থীরা কিছু দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে, আমরা তাদের দাবি বাস্তবায়ন করেছি। কিন্তু, কিছু লোক একে সুযোগ হিসেবে নিয়ে ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, সে সুযোগে তারা উসকানি দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছে। তাদের সূত্র কোথায়? বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী সবুর খানের বংশধররা এই আন্দোলনে উসকানি দিয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, যে যত বড় হোক না কেন, অন্যায় করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া রাষ্ট্রের কর্তব্য। নামীদামি সাংবাদিক, সাহিত্যিক হলে তারা অপরাধ করে পার পাবে, তা কেন? সবাই তো পর্যাপ্ত স্বাধীনতা পাচ্ছেন। তারা অনেক জ্ঞানী-বুদ্ধিমান। কিন্তু, তাদের ভেতরে কি এতটুকু দায়িত্ববোধ থাকবে না? উসকানি দিয়ে যাবে? আর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে কেন হৈ চৈ শুরু হয়ে যাবে?’
তিনি বলেন, ‘যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং এখনো চক্রান্ত করে যাচ্ছে, তাদের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। কারণ, তারা নিজেরা ভালো থাকতে চায়, বাংলাদেশের কল্যাণ দেখতে চায় না। তাদের অর্থের উৎস কোথায়? তারা কিছু হলেই আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে কথা। কারণ, যখন বাংলাদেশের অসাংবিধানিক সরকার থাকে, তখন তাদের কাছে এসব লোকের কদর বাড়ে। এরা সুযোগসন্ধানী। এদের মধ্যে পাকিস্তানিদের পদলেহনের মনোভাব রয়ে গেছে। এ সময় প্রধানমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, ‘যত ষড়যন্ত্র হোক না কেন, স্বাধীনতাবিরোধী খুনিদের এদেশের ক্ষমতায় আসতে দেয়া হবে না।’
সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও কলামিস্টদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে আপনারা কলাম লেখেন। কিন্তু, গুজব ছড়িয়ে বিভ্রান্ত করার বিষয়টি কি আপনারা দেখেন না? তখন কী আপনাদের কলমের কালি ফুরিয়ে যায়?
শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোমলমতি শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠীর মৃত্যুর ঘটনায় রাস্তায় নেমে আসে। আমরা তাদের দাবি মেনে নিই। এরপরও একটি গোষ্ঠী রাস্তায় নেমে আসে। সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে।’
তিনি বলেন, ‘৬০ বছরের বুড়োরা স্কুলড্রেস পরে নেমে গেল। দর্জিরা হিমশিম খেতে লাগল স্কুলড্রেস বানাতে। এই বুড়োরা হঠাৎ ছোট হতে চাইল, উদ্দেশ্য কি? এদের পেছনের ব্যাগ থেকে দা, চায়নিজ কুড়াল, পাথর বের হতে লাগল। স্কুল ব্যাগে তো বই থাকার কথা, অস্ত্র নয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক সাংবাদিক, আমাদের দেশের বুদ্ধিজীবীরা কি এগুলো দেখবেন না? গুজব ছড়ানোর ব্যবস্থা নিলে যারা কলাম লেখেন, তারা কি এসব দেখেন না, তখন কী তাদের কলমের কালি ফুরিয়ে যায়?’
তিনি বলেন, ‘যারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস করেনি, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে, কারাগারে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করেছে, তারা তো এদেশের উন্নয়ন চায় না। কোমলমতি স্কুল শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে তারা ষড়যন্ত্র মেতে ওঠে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, সে সুযোগে তারা উসকানি দিয়ে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছে। তাদের সূত্র কোথায়? বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধী সবুর খানের বংশধররা এই উসকানি দিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘যে যত বড় হোক না কেন, অন্যায় করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া রাস্ট্রের কর্তব্য। নামীদামি সাংবাদিক, সাহিত্যিক হলে তারা অপরাধ করে পার পাবে, তা কেন? সবাই তো পর্যাপ্ত স্বাধীনতা পাচ্ছেন। তারা অনেক জ্ঞানী-বুদ্ধিমান। কিন্তু, তাদের ভেতরে কি এতটুকু দায়িত্ববোধ থাকবে না? উসকানি দিয়ে যাবে? আর তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলে কেন হৈ চৈ শুরু হয়ে যাবে?’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং এখনো চক্রান্ত করে যাচ্ছে, তাদের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। কারণ, তারা নিজেরা ভালো থাকতে চায়, বাংলাদেশের কল্যাণ দেখতে চায় না। তাদের অর্থের উৎস কোথায়? তারা কিছু হলেই আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে কথা। কারণ, যখন বাংলাদেশের অসাংবিধানিক সরকার থাকে, তখন তাদের কাছে এসব লোকদের কদর বাড়ে। এরা সুযোগসন্ধানী। এদের মধ্যে পাকিস্তানিদের পদলেহনের মনোভাব রয়ে গেছে।