বিশ্বসেরা প্রভাবশালী ১০ মুসলিম ব্যক্তিত্ব
২০১৮ সালের বিশ্বসেরা ১০ ইসলামিক পন্ডিতদের তালিকা প্রকাশ করেছে ইসলামিক ইনফরমেশন ডটকম। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বে সামাজিক ও ধর্মীয় অবস্থানের দিক দিয়ে অন্যতম ১০ জনকে নির্বাচন করে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
বিশ্বজুড়ে এই ১০ জন ইসলামিক স্কলার মুসলামানদের মনে ইসলামিক চিন্তা ও দর্শনের বীজ বপন করে চলেছে। বছরজুড়ে বিশ্ব মুসলিমদের হৃদয়ে তাদের একটা শক্ত অবস্থান তৈরি হয়েছে। চলুন জেনে নেই- ২০১৮ সালের অন্যতম ১০ ইসলামি ব্যক্তিত্বের পরিচয়।
০১. মুফতি তাকি উসমানি
মুফতি তাকি উসমানি পাকিস্তানের একজন হানাফি ইসলামি গবেষক। তিনি ১৯৮১ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের ফেডারেল শরিয়ত আদালতের বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮২ থেকে ২০০২ সালে পাকিস্তানি সুপ্রিম কোর্টের শরিয়ত আপিল বিভাগে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি দারুল উলূম করাচিতে অধ্যায়না পেশায় নিয়োজিত রয়েছেন। বহু গ্রন্থ রচনা করেছেন তিনি। তার গ্রন্থ বিশ্বের প্রায় ১৬টি রাষ্ট্রে অনুদিত হয়ে আসছে। উপমহাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই মুসলিম পন্ডিতের বেশ কদর রয়েছে।
২. বিলাল ফিলিপস
আবু আমিনা বিলাল ফিলিপস কাতারের একজন কানাডিয় মুসলিম প্রশিক্ষক। তিনি পিস টিভিতে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। ইসলামি দর্শন ও বিভিন্ন বিষয়ে তার পান্ডিত্বের সুনাম রয়েছে।
৩. মাওলানা তারেক জামিল
তারিক জামিল (জন্ম ১ জানুয়ারি ১৯৫৩), মাওলানা তারিক জমিল নামে পরিচিত।একজন পাকিস্তানী ধর্মীয় ও ইসলামী গবেষক, ধর্মপ্রচারক। পাঞ্জাবের তাবলিগ জামায়াতের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ও মুরব্বি।
একজন গবেষক হিসেবে ভারত পাকিস্তানে সমানভাবে প্রসিদ্ধ তিনি। তার লেকচারের অনেক প্রশংসা বিশ্বব্যাপী শোনা যায়।ফয়সালাবাদে একটি মাদরাসার পরিচালনা করেন। তিনি ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে প্রায় ৫০০ শতেরও বেশি বই লিখেছেন। তার বই ২০১৩ সালে বেস্ট সেলারের কাতারেও জায়গা করে নেয়।
৪. ইউসূফ এস্তেস
ইউসুফ এস্তেস (১৯৪৪ এ জন্ম) টেক্সাসের একজন আমেরিকান মন্ত্রী ছিলেন তিনি। ১৯৯১ সালে খ্রিস্টধর্ম থেকে ইসলামের ছায়া তলে আসেন তিনি। তারপর থেকে আল্লাহর পথে মানুষদের আহ্বানে নিজের জীবন উৎসর্গ করেন। বহু মানুষ তার হাতে ইসলাম গ্রহণ করেছেন।
তিনি ২০০০ সালের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে অনুষ্ঠিত ধর্মীয় নেতাদের বিশ্ব শান্তি সম্মেলনে একজন মুসলিম প্রতিনিধি হিসেবে যোগ দেন।
৫. উমর সুলাইমান
ইমাম ওমর সুলাইমান ইসলামিক গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রেসিডেন্ট। সাউদার্ন মেথডিস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজের শিক্ষক। তিনি একইভাবে শিক্ষক ও ইসলামি বিষয়ের বিশ্লেষক হিসেবে প্রসিদ্ধি অর্জন করেন।
৬. ড. ডালিয়া মুজাহিদ
ড. ডালিয়া মুজাহিদ মিশরে জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে তিনি একজন আমেরিকান গবেষক হিসেবে কাজ করছেন। তিনি ওয়াশিংটন, ডি.সি. এ সামাজিক নীতি ও ইনস্টিটিউট অব রিসার্চ এর ডিরেক্টর হিসেবেও কর্মরত। ডালিয়া মুজাহিদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামার উপদেষ্টা হিসেবেও কাজ করেছেন।
তিনি বর্তমানে ইসলামি বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে মানুষকে ইসলামের দিকে আহ্বান করছেন। একজন মুসলিম স্কলার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন।
তিনি যুক্তরাষ্ট্রে হিজাবের পক্ষে জোরালোভাবে কথা বলে আসছেন। মুসলিম নীতি আইন অনুযায়ী মুসলিমদের চলতে উদ্বুদ্ধ করছেন।
৭. ইয়াসমিন মুজাহিদ
ইয়াসমিন মুজাহিদ তার জ্ঞানগর্ভ আলোচনার মাধ্যমে বিশ্ব মুসলিমের অন্তরে জায়গা করে নিয়েছেন। তিনি মনোবিজ্ঞান স্নাতক ও উইসকনসিন-ম্যাডিসন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতা এবং গণযোগাযোগ এর উপর মাস্টার ডিগ্রী অর্জন করেছেন।
৮. মুফতি ইসমাঈল মেঙ্ক
ইসমাইল ইবনে মুসা মেঙ্ক। মুফতি মেঙ্ক নামে প্রসিদ্ধ। তিনি জিম্বাবুয়ের গ্র্যান্ড মুফতি। তিনি মুসলিম বিশ্বে মুসলমানের কাছে তার লেকচারের মাধ্যমে ব্যাপক প্রসিদ্ধি লাভ করেন।মানুষের জীবন ও ইসলামের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন তিনি।
৯. উস্তাদ নোমান আলী খান
নুমান আলি খান। একজন পাকিস্তান-আমেরিকান মুসলিম স্কলার। তিনি একজন প্রসিদ্ধ লেখকও। আরবি ও কোরঅানিক স্টাডিজ ইনস্টিটিউটের একজন স্বনামধন্য প্রফেসর তিনি। বহু বিষয়ে তার লেকচার পাওয়া যায় তার। অনেকে তাকে কুরআন গবেষক হিসেবেও পরিচয় করিয়ে থাকেন।
১০. ডা. জাকির নায়েক
জাকির আবদুল করিম নায়েক। একজন ভারতীয় ইসলামি ধর্মপ্রচারক। ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশনের পরিচালক। তিনি পিস টিভি চ্যানেলের মালিক।এ টিভির মাধ্যমে তিনি ১০০ মিলিয়ন দর্শকদের আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছিলেন। বিভিন্ন বিষয়ে বিতর্কিত হলেও তার কাজের প্রশংসা করেন অনেক সাধারণ ইসলামিক গবেষকরা।