দেখতে নিখুঁত না, তাই বলে বছরে ৫ টন খাদ্য বাতিল!
ব্রিটেনে এক গবেষণা বলছে, দেখতে ভালো লাগছে না এই যুক্তিতে ইউরোপের কৃষক এবং বিক্রেতারা প্রতি বছর পাঁচ কোটি টন খাদ্য বাতিল করে দেয়।
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই গবেষণা বলছে, মোট উৎপাদিত শস্যের এক-তৃতীয়াংশ নষ্ট হয়ে যায়। কারণ সুপারমার্কেট এবং ভোক্তারা এমন সবজি বা ফল চান যেগুলো দেখতে নিখুঁত।
অর্থাৎ এসব ফল বা সবজির আকার হয়তো ঠিক নেই, কিম্বা দেখতে কুৎসিত ধরনের। অর্থাৎ এসব সবজি বা ফলের সঙ্গে ভোক্তাদের ধারণার মিল নেই।
ফলে অবিক্রিত বা বাতিল খাদ্য মাঠে পড়ে থাকে অথবা পশুর খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়।
এই গবেষণায় দেখা হয়েছে, প্রতি বছর ইউরোপীয় অর্থনৈতিক এলাকাতে কী পরিমাণ ফসলের হানি হয় এবং কী পরিমাণ ফসল ফেলে দেয়া হয়।
গবেষকরা এজন্যে সরকারি নীতিমালা, সুপারমার্কেটের উচ্চ মান এবং পণ্য সম্পর্কে ভোক্তাদের আকাঙ্ক্ষাকে দায়ী করেছেন।
গবেষণায় আরো দেখা গেছে, এসব কারণে কৃষকদের যতো ফসল উৎপাদন করার কথা, তারা তার চেয়েও বেশি উৎপাদন করে থাকে। কারণ তারা ধরেই নেন যে এর একটা অংশ তারা বিক্রি করতে পারবেন না।
এই অপচয় রোধে গবেষকরা ভোক্তাদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন। একই সঙ্গে এবিষয়ে একটি আন্দোলন গড়ে তোলার কথাও বলেছেন তারা, যাতে সুপারমার্কেটগুলো দেখতে ভালো নয় এরকম ফল বা সবজি বিক্রি করতে উৎসাহিত হয়।
এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ জিওসায়েন্সেসের স্টিফেন পর্টার বলেছেন, সব্জি বা ফল দেখতে কেমন হওয়া উচিত, সে বিষয়ে লোকজনের মনোভাবের পরিবর্তন ঘটানো গেলে এই অপচয় অনেকটাই কমানো সম্ভব।
পাশাপাশি এর ফলে খাদ্য উৎপাদনের কারণে জলবায়ুর ওপরে যে প্রভাব পড়ে এবং খাদ্যের জন্যে যে ব্যাপক চাহিদা সেসবও সামাল দেয়া কিছুটা হলেও সহজ হবে।