জিসিএসসি’তে ভালো ফলাফল অর্জন করেছে স্টাডি সাপোর্ট‘র শিক্ষার্থীরা
টাওয়ার হ্যামলেটস এলাকার শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করছে উইকেন্ড স্কুল ‘স্টাডি সাপোর্ট’। ইস্ট লন্ডনের বাসিন্দা আন্ডার গ্র্যাজুয়েট, গ্র্যাজুয়েট ও স্থানীয় শিক্ষকদের উদ্যোগে ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘স্টাডি সাপোর্ট। শিক্ষার উন্নয়নের যথাযথ সহায়তার অভাব ও আর্থিক সমস্যার বিষয়টি ইস্ট লন্ডনের এই সচেতন শিক্ষা উদ্যোক্তরা অনুধাবন করেছিলেন। অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদেরকে সাধ্যের মধ্যে উচ্চ মানের শিক্ষা সহায়তার লক্ষ্য নিয়েই উদ্যোক্তরা প্রতিষ্ঠা করেন ‘স্টাডি সার্কেল’।
এই প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে বিশেষ করে ইংরেজি, অংক ও বিজ্ঞান বিষয়ে ৮ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদেরকে সহায়তা প্রদান করা হয়। জাতীয় শিক্ষাক্রমভূক্ত সকল মূল বিষয়ে সহায়তার বিষয়ে জোর দিয়ে থাকে ‘স্টাডি সার্কেল’।
বরাবরের ন্যায় এবারো জিসিএসসি পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নাবিলা হাসান।এই শিক্ষার্থী এবারের জিসিএসসিতে ২টি ডাবল এ স্টার, ২টি এ এ স্টার এবং ৪টি বিষয়ে এ পেয়েছে। নাবিলা জানায় শিক্ষকরা কঠিন বিষয়গুলো অত্যন্ত সহজ করে বুঝিয়ে দেওয়ার কারন্ইে এই ফলাফল। তাদের দক্ষতা আমাদের ভালো ফলাফল অর্জনে সহায়ক হয়েছে।
আরেকজন হচ্ছে আনিসুর রহমান। এই শিক্ষার্থী তার ফলাফলে দুটি এ স্টার, ৩টি এ এবং ২টি বি অর্জন করেছে। আনিস জানায়, স্টাডি সাপোর্ট তাকে সত্যিকার অর্থেই সহযোগিতা করেছে ভালো ফলাফল অর্জনে। দক্ষ শিক্ষক মন্ডলীর একান্ত সহযোগিতায় নতুন নিয়মে ভালো গ্রেড অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।
২০১৭ সাল থেকে ক্যানন স্ট্রিট রোড , ই১-এ অবস্থিত বাটারকাপ প্রাইমারী স্কুল প্রাঙ্গণে উইকেন্ডে শিক্ষা সহায়তা কার্যক্রম সম্প্রসারিত করেছে ‘স্টাডি সাপোর্ট’। প্রতি শনি ও রবিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ‘স্টাডি সাপোট’-এর ক্লাস চালু থাকে। ইতোমধ্যে কয়েক শ’ শিক্ষার্থী এই উইকেন্ড স্কুল থেকে উপকৃত হয়েছেন। বর্তমানে এই প্রতিষ্ঠান তার সেবার পরিধি আরো সম্প্রসারিত করতে যাচ্ছে।
এই প্রতিষ্ঠানের সাবেক শিক্ষার্থী, বর্তমানে প্রকৌশল বিষয়ে উচ্চতর অধ্যয়নরত জাওয়াদ উদ্দিন ১১টি এ-স্টার ও ৩টি এ অর্জন করেছিলেন। কৃতি ছাত্র জাওয়াদ উদ্দিন বলেন, পরীক্ষায় কিভাবে ভাল নম্বর পেতে হয়, তা আমাকে দেখিয়ে দিয়েছিল ‘স্টাডি সাপোর্ট’। পরীক্ষাতে এ-স্টার ও এ গ্রেড পাওয়ার ক্ষেত্রে ‘স্টাডি সাপোর্ট’-এর প্রদর্শিত পন্থাই আমার কাছে সবচেয়ে বেশী কার্যকর মনে হয়েছে। লেখাপড়াকে শুধুমাত্র পুঁথিগত বিদ্যাকে আত্মস্থ করার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রাখার বিষয়টি হচ্ছে এই ইনস্টিটিউটের মূলমন্ত্র। প্রতিষ্ঠানের বিশেষায়িত সিলেবাস, রিসোর্সেস এবং শিক্ষকদের মাধ্যমে ‘স্টাডি সাপোর্ট’ শিক্ষার্থীদেও লেখাপড়ার উপর প্রকৃত দখল বা দক্ষতা অর্জনে সহায়তা কওে থাকে। এই প্রতিষ্ঠান শুধুমাত্র উৎসাহ দানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় ব্যুৎপত্তি অর্জনে অনুপ্রেরণা দেয়না, বরং প্রকৃত ‘রোল মডেল’ উপস্থাপনের মাধ্যমে শেখার ক্ষেত্রে সহায়তা কওে থাকে। স্কুলের গতানুগতিক লেখাপড়া ছাড়াও এই প্রতিষ্ঠান আগামী প্রজন্মকে প্রাগ্রসর চিন্তাশীল, সমস্যা সমাধানে দক্ষ এবং সৃষ্ঠিশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার চেষ্টা করে।
প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান অধ্যক্ষ মাহের হাসান বলেন, শিক্ষা একটি আমৃত্যু প্রক্রিয়া। যারা নিজের শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখতে চায়, তাদেরকে এই মূলমন্ত্রটি অবশ্যই অনুসরণ করতে হয়। আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদেরকে এই মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত করতে চাই, যাতে তারা প্রতিনিয়ত শিখতে পারে এবং ভবিষ্যতে বড় অর্জনে সক্ষম হয়। ‘স্টাডি সাপোর্ট’-এর অনেক শিক্ষার্থী ডাক্তার, প্রকৌশলী, শিক্ষক, উদ্যোক্তা ও নেতৃত্বশীল অবস্থান অর্জনের মাধ্যমে আমাদের সেই অনুপ্রেরণার মূলমন্ত্রকে কাজে লাগাতে সক্ষম হয়েছে। আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে মর্যাদাপূর্ণ আসনে অধিষ্ঠিত এই কৃতি শিক্ষার্থীরা আগামী ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর একটি ‘অপেন ডে’ অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করবে। এই ‘অপেন ডে’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত হতে সক্ষম হবেন। তারা এই অনুষ্ঠানে নিবন্ধনের মাধ্যমে ৫০ পাউন্ড ফি রেয়াতের সুযোগ পাবেন।
এসেসমেন্ট বুকিংয়ের জন্য ০২০৮ ০০৪ ৩৫৩৯, ০৭৯৩০ ৯২৭ ৪৯৩ নাম্বারে অথবা www.studysupportuk.com এই ওয়েব সাইটে যোগাযোগ করা যাবে।