রেলওয়ে আর্চ গুলোর ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ক্ষুদ্র ব্যবসায় মারাত্মক প্রভাব ফেলছে

টাওয়ার হ্যামলেটস বারা জুড়ে রেলওয়ে লাইনের নীচের আর্চগুলোতে ব্যবসারত কঠোর পরিশ্রমকারী ক্ষুদ্র ব্যবসায়িদের ওপর মাত্রাতিরিক্ত হারে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পূণর্বিবেচনার জন্য নেটওয়ার্ক রেল কর্তৃপক্ষের প্রতি আহধ্বান জানিয়েছেন মেয়র জন বিগস। বেথনাল গ্রীণের ব্যানক্রফট রোডে রেলওয়ে আর্চের নিচের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শনে গিয়ে মেয়র বিগস এই আহধ্বান জানান।

নেটওয়ার্ক রেল কর্তৃপক্ষের রেকর্ড পরিমান ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত ছোট ও মাঝারি আকারের ব্যবসায়িদের ওপর কতটুকু প্রভাব ফেলছে তা ব্যবসায়িরা মেয়রকে অবহিত করেন। পরিদর্শনকালে মেয়রের সাথে ছিলেন কেবিনেট মেম্বার ফর ওয়ার্ক এন্ড ইকোনোমিক গ্রোথ, কাউন্সিলর মতিন উজ-জামান।

মার্কোস জনস নামের একজন ব্যবসায়ি জানান, নেটওয়ার্ক রেল তার দোকানের ভাড়া প্রায় ৩৫০ গুণ বাড়াতে চায় এবং তাদের এই সিদ্ধান্তের অনুকূলে বিশ্বাসযোগ্য কোন ব্যাখ্যা নেই। মার্কোস আশংকা করছেন যে, এ কারণে তার ছোট কোম্পানীটি হয়তো বন্ধ হয়ে যাবে। একই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে রেলওয়ে আর্চের নিচের দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকরা।

মেয়রের সরেজমিনে পরিদর্শনের আগে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল অযৌক্তিক ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পূণর্বিবেচনার দাবিতে চলমান ক্যাম্পেইনকে সর্বাত্মক সমর্থন ঘোষনা করে।

সেক্রেটারী অব স্টেট ফর ট্রান্সপোর্ট এবং নেটওয়ার্ক রেল এর চীফ এক্সিকিউটিভ এর কাছে লেখা এক চিঠিতে মেয়র জন বিগস এবং কাউন্সিলর মতিন উজ-জামান ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত পূণচ্ঞবিবেচনার অনুরোধ জানান।

চিঠিতে ভাড়া বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্ত টাওয়ার হ্যামলেটসের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিপর্যস্ত করে দেবে বলে সেক্রেটারী অব স্টেটকে সতর্ক করে দিয়ে মেয়র জন বিগস এবং কাউন্সিলর মতিন উজ-জামান ক্যাম্পেইন গ্রুপ ষ্ক্রগার্ডিয়ান অব দ্যা আর্চেসম্বকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

মেয়র জন বিগস বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটস হচ্চেছ কঠোর পরিশ্রমী ও উদ্যোক্ত বারা এবং অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসা বাণিজ্য রয়েছে এখানে, যা আমাদের স্থানীয় অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত সারা দেশ জুড়ে থাকা ছোট আকারের পারিবারিক ব্যবসা ও কর্মসংস্থানের জন্য একটি মারাত্মক হুমকি। নেটওয়ার্ক রেল এর মালিক হচ্ছে জনগণ এবং এর এই সিদ্ধান্ত ব্যবসাসমূহ ও কমিউনিটিগুলোর ক্ষতি ছাড়া আর কিছুই করবেনা। এই সিদ্ধান্ত পূণর্বিবেচনার জন্য আমি দৃঢ়ভাবে নেটওয়ার্ক রেলকে অনুরোধ করছি।

কেবিনেট মেম্বার ফর ওয়ার্ক এন্ড ইকোনোমিক গ্রোথ, কাউন্সিলর মতিন উজ-জামান বলেন, রেলওয়ে আর্চ বিক্রির সিদ্ধান্তের ব্যাপারে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়িদের কথা শুনতে আমরা তাদের কাছে ছুটে গেছি। তারা তাদের উ্কক্তা আমাদের জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, নেটওয়ার্ক রেল কর্তৃপক্ষের নীতির কারণে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যানক্রফট রোডের ব্যবসায়িদের সাথে মিটিংয়ের পর আমি এবং বারার নির্বাহী মেয়র জন বিগস এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তনে আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু চাপ দেয়া সম্ভব, তা দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। নেটওয়ার্ক রেলকে ও সেক্রেটারী অব স্ট্যাটকে আমরা চিঠি লিখেছি। আমরা লন্ডনের অন্যান্য কাউন্সিলের সাথে এবং আমাদের পার্লামেন্ট মেম্বারদের সাথেও কাজ করবো, যাতে করে সংশ্লিষ্টদের ওপর কার্যকর চাপ নিশ্চিত করা যায়।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button