লন্ডনে সিলেটীদের নতুন প্রজন্ম গড়ে উঠেছে
মতবিনিময় সভায় কাউন্সিলর নাজমা রহমান
লন্ডন বরো অব ক্যামডেন এর কাউন্সিলর নাজমা রহমান এর সাথে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র নেতৃবৃন্দের এক মতবিনিময় সভা ২৭ আগস্ট সোমবার চেম্বার বোর্ড রুমে অনুষ্ঠিত হয়। সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ এর সভাপতিত্বে সভায় কাউন্সিলর নাজমা রহমান বলেন, সিলেট এবং লন্ডন ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তার বন্ধনে আবদ্ধ। লন্ডনে সিলেটীদের একটি নতুন প্রজন্ম গড়ে উঠেছে, যাদেরকে দেশের প্রতি আকৃষ্ট করা জরুরী। তিনি বলেন, বৃটেনের বাংলাদেশীরা দেশে বিনিয়োগে আগ্রহী। কিন্তু নিরাপত্তা ও প্রাতিষ্ঠানিক জটিলতা এক্ষেত্রে অনেক সময় বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। তিনি সিলেটের শিল্প খাতের উন্নয়ন ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সিলেট চেম্বারের বিভিন্ন কার্যক্রমের ভূঁয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ বর্তমানে সারাবিশ্বের নিকট অত্যন্ত সম্ভাবনাময় দেশ হিসেবে পরিচিত। বিশ্বের অনেক উন্নত দেশ বাংলাদেশের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে তৎপরতা চালাচ্ছে। তিনি পর্যটন ও আইটি খাতে সিলেটের অপার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করেন এবং বর্জ্য রিসাইকেলিং নিয়ে সিলেটে কাজ করার আগ্রহ রয়েছে বলে জানান। তিনি বৃটেনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য যোগাযোগ বৃদ্ধিতে তার পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বারের সভাপতি খন্দকার সিপার আহমদ বলেন, বর্তমান সরকার বাংলাদেশে প্রবাসী বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করছেন। এ ব্যাপারে সিলেট চেম্বার অব কমার্সও নিজস্ব অবস্থান থেকে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সিলেটের প্রবাসীগণ বৃটেনের ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি, রাজনীতি ও সামাজিক কর্মকান্ডে যে বিশাল ভূমিকা রাখছেন তা আমাদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের। তিনি বলেন, সিলেটে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা, পুঁজি, গ্যাস ও মানবসম্পদ থাকা সত্ত্বেও উদ্যোক্তার অভাবে শিল্প খাতে সিলেট দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। এখানে আশানুরূপ বিদেশী বিনিয়োগ হচ্ছে না। বৃটেনে বসবাসরত সিলেটীরা এবিষয়ে একটু নজর দিলে শিল্প খাতে সিলেট অনেকদূর এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি এখানে প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। তিনি সিলেটে নির্মানাধীন শ্রীহট্ট ইকোনমিক জোন ও হাইটেক পার্কে বিনিয়োগের জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের আহবান জানান। তিনি বলেন, প্রবাসীরা এই দুটি প্রকল্পে বিনিয়োগ করে সিলেটের শিল্প বিপ্লবের অংশীদার হতে পারেন। এক্ষেত্রে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের পক্ষ থেকে প্রবাসী বিনিয়োগকারীদের সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করা হবে। সভায় বক্তাগণ বলেন, লন্ডনে বৃহত্তর সিলেটের প্রায় ৫২ জন কাউন্সিলর রয়েছেন। তারা সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করলে সিলেটে প্রবাসী বিনিয়োগ অনেকখানি ত্বরান্বিত হবে। যা সিলেট তথা বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি মাসুদ আহমদ চৌধুরী, সহ সভাপতি মোঃ এমদাদ হোসেন, সিলেট প্রেসক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২০নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট চেম্বারের পরিচালক মোঃ সাহিদুর রহমান, পিন্টু চক্রবর্তী, মোঃ ওয়াহিদুজ্জামান (ভূট্টো), পরিচালক মুশফিক জায়গীরদার, আমিরুজ্জামান চৌধুরী, আব্দুর রহমান, ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ।