কওমী মাদরাসা সনদের স্বীকৃতি প্রদানের দাবীতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক পেশ
কওমী মাদরাসা সনদের স্বীকৃতি ও কওমী আলেমদের নিয়ে গঠিত শিক্ষা টাস্টের মাধ্যমে গঠিত কমিশনকে স্বীকৃতি প্রদানের দাবীতে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারক পেশ করেছেন কওমী মাদরাসা শিক্ষা সংরক্ষণ পরিষদ সিলেটের নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার দুপুরে সিলেট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মনোওয়ার মুর্শেদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি মুফতী ফয়জুল হক জালালাবাদী, সিনিয়র সহ-সভাপতি প্রিন্সিপাল মাওলানা নাসির উদ্দিন, মাওলানা মনছুরুল হাসান রায়পুরী, শায়খুল হাদীস আব্দুল মতিন ধনপুরী, মাওলানা আব্দুল মতিন নবীগঞ্জী, প্রিন্সিপাল মাওলানা মাহমুদুল হাসান, শায়খুল হাদীস মাওলানা মাসুক আহমদ, প্রিন্সিপাল মাওলানা ওয়াদুদ মক্কী, মাওলানা আব্দুল ওয়াহিদ চৌধুরী, পরিষদের সেক্রেটারী মাওলানা আছলাম রাহমানী, হাফিজ মাওলানা আব্দুল জব্বার, প্রিন্সিপাল মাওলানা জহুরুল হক, হাফিজ আব্দুল মালিক, হাফিজ মাওলানা জয়নাল আবেদীন, মাওলানা ইলিয়াস, হাফিজ আলমগীর রাহমানী, মাওলানা নজরুল ইসলাম শিকদার, মাওলানা মোশাহিদ আলী, মাওলানা সাব্বির আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা রমিজ উদ্দিন, মাওলানা আব্দুল্লাহ, মাওলানা হাফিজ নেসার আহমদ, মাওলানা কবির আহমদ, মাওলানা ইসহাক আমিনী, মাওলানা জুবের আহমদ প্রমুখ।
স্মারকলিপি সূত্রে জানা যায়, দেশের তরুণ সমাজকে আদর্শচ্যুত, ধর্মহনি ও নৈতিকতাশূন্য সেক্যুলার প্রজন্মে পরিণত করার জন্য ইসলাম ও ইসলামী শিক্ষার বিরুদ্ধে ইসলাম বিদ্বেষী বিদেশী শক্তির এদেশীয় এজেন্টরা পরিকল্পিত তৎপরতা চালিয়ে আসছে বহুদিন ধরেই। এবার কোনো প্রকার রাখটাক ছাড়াই তারা নিজেদের এই অশুভ চক্রান্ত ফাঁস করে দিলেন। চার বছর আগে যারা সেনাবাহিনীতে মাদরাসা ছাত্রদের যোগদান, মেয়েদের পর্দা, হিজাব প্রভৃতি বিষয়ে মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে প্রবন্ধ লিখে বিভিন্ন ভাষায় সারা বিশ্বে প্রচার করেছিলেন, আজ দেশের গুরুত্বপূর্ণ এক সন্ধিক্ষণে তারা আবারো তৎপর হয়ে উঠেছে। মুসলমানদের ঈমান-আক্বিদা, বিশ্বাস, চেতনা ও মূল্যবোধের বুনিয়াদ তৈরীর কেন্দ্র মাদরাসায় যেন মুসলমানদের সন্তান-সন্ততি পড়াশোনা ও শিক্ষা-দীক্ষা অর্জন করতে না পারে সে লক্ষ্যে তথাকথিত আন্দোলনের কথা শোনা যাচ্ছে। দেশের নাগরিকদের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের বিরুদ্ধে আজ প্রকাশ্যে বুদ্ধিবৃত্তিক, সাংস্কৃতিক এমনকি রাজনৈতিক জায়গা থেকে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করে যারা প্রকৃতপক্ষে ইসলাম নির্মূলের মিশনে নেমেছে, জনগণ তাদের চিনে রাখবেন। আদর্শ, নৈতিকতা, মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন আলোকিত প্রজন্ম উপহার দেয়ার জন্য মাদরাসা শিক্ষা ব্যবস্থার কোনো বিকল্প নেই। যারা শৈশব থেকে অমুসলিমদের সংশ্রবে ছিল এবং এ দেশের মাটি ও মানুষের সাথে যাদের কোনো সম্পর্ক নেই, তারাই মাদরাসা শিক্ষা বিলুপ্ত করার ষড়যন্ত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কিন্তু শহীদ গাজী, ওলিআউলিয়া ও আলিম উলামার এই দেশে জনগণ তাদের সে ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে না পারে সে ব্যাপারে নেতৃবৃন্দ সকলকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।