সৌদি আরবকে পরামর্শ দিয়ে টনি ব্লেয়ারের ৯০ লাখ পাউন্ড আয়!
ব্রিটেনের সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘ইনিস্টিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জ’ সৌদি আরবে আধুনিক সংস্কারের পরামর্শ দিয়ে ৯০ লাখ পাউন্ড বা ১ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার পেলেও এধরনের পরামর্শ একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই দেয়া হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
সানডে টেলিগ্রাফের বরাত দিয়ে মিডিল ইস্ট আই ডটনেট এ খবরে বলছে, এবছরের শুরুতেই টনি ব্লেয়ারের প্রতিষ্ঠানটি এ জন্যে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে। এ চুক্তিও হয় অলাভজনক একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সৌদি আরব সরকারের ২০৩০ ভিশনে পরামর্শ দেওয়ার জন্যে।
পরামর্শের শুরুতেই টনি ব্লেয়ারের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান সৌদি আরবের বৃহৎ জাতীয় তেল প্রতিষ্ঠান আরামকো’র শেয়ার বাজারে ছাড়াসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান ও সম্পদ বেসরকারিখাতে ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে টেলিগ্রাফ বলছে, প্রথমে টনি ব্লেয়ার ইনস্টিটিউটের সঙ্গে সৌদি সরকারের একটি চুক্তি হয় ২০১৬ সালে। ওই বছরেই জানুয়ারিতে টনি ব্লেয়ার ওই চুক্তির জন্যে ১০ মিলিয়ন ডলার নেন। এ অর্থ দেওয়া হয় সৌদি রিসার্চ এন্ড মার্কেটিং গ্রুপের পক্ষ থেকে সৌদি সংস্কার সম্পর্কে ব্যাপক প্রচারণা চালানোর জন্যে।
টেলিগ্রাফ আরো জানায়, মোট অর্থ হিসেবে ১২ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়। তবে টনি ব্লেয়ারের ইনস্টিটিউটের ওয়েব সাইটে হরহামেশা সৌদি আরব ও ক্রাউন প্রিন্সের প্রশংসা করা হলেও অর্থপ্রাপ্তির ব্যাপারে কিছু উল্লেখ করা হয়নি। তবে ব্লেয়ারের অফিস বলছে এধরনের অর্থপ্রাপ্তির বিষয়ে কোনো তথ্য দেওয়া তাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। আর অর্থ নেওয়া হয়েছে সৌদি আরবে সংস্কারের জন্যে। যা প্রতিষ্ঠানটির বার্ষিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে টনি ব্লেয়ার মধ্যাপ্রাচ্যে বিশেষ দূত হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ২০১৬ সালে গাজায় শ্রমিকদের জন্যে কাতারের কাছ থেকে ৩০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা চুক্তি করতে সমর্থ হন।