বৃহত্তর ঐক্য গড়ার আহবান তারেক রহমান’র

গণতন্ত্র এবং মুক্তিযুদ্ধের মূল্যবোধের সরকার ফিরিয়ে আনতে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ দেশের সর্বস্তরের জনগণকে বৃহত্তর ঐক্য গড়ার আহবান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, সবাই স্ব স্ব অবস্থান থেকে প্রস্তুতি নিন। ডাক আসা মাত্র বাংলাদেশের সাধারণ মানুষদের সঙ্গে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।

বিএনপির ৪০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে লন্ডনে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এই আহবান জানান। সোমবার পূর্ব লন্ডনের হাইস্ট্রীট নর্থ এর দি রয়্যাল রেজেন্সী হোটেলে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বর্তমান সরকারকে অবৈধ, অগণতান্ত্রিক এবং লুটেরা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে নতুবা সন্ত্রাসী সরকার দেশের মাটি পর্যন্ত খুলে নিয়ে বিক্রি করে দিবে।

জনগণের দেশ জনগণের কাছে ফিরিয়ে আনতে হবে মন্তব্য করে তারেক রহমান বলেন, না, না, না। অনেক হয়েছে, আজ এখানেই রুখে দিতে হবে।জনগণের দেশ জনগণের কাছে ফিরিয়ে আনতে হবে। এটা আমাদের দায়িত্ব।এজন্য দরকার ঐক্য। সে ঐক্য হলো সমাজের সকল স্তরের মানুষের ঐক্য।

নেতাকর্মীদের আন্দোলনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণের আহবান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি কোণায়, প্রতিটি গ্রামে, প্রতিটি ওয়ার্ডে, প্রতিটি জেলায়, থানায়, পৌরসভায়, প্রতিটি বিভাগে আমাদের লক্ষ-লক্ষ নেতা-কর্মী আছে। আপনারা স্ব স্ব অবস্থান থেকে প্রস্তুতি নিন। ডাক দেবার সময় চলে এসেছে। ডাক আসার জন্য অপেক্ষা করুন, ডাক আসা মাত্র বাংলাদেশের মানুষদের সঙ্গে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে। ইনশাআল্লাহ। সময়মতো ডাক আসবে। ডাকা আসা পর্যন্ত আপনাদের স্ব স্ব অবস্থান থেকে প্রস্তুতি গ্রহণ করুণ।

সরকার ভীতি, প্ররোচণা কিংবা কোনো প্রকারের ফাঁদে পা না দিতে নেতা-কর্মীসহ সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, মনে রাখবেন বাংলাদেশের মানুষের ঐক্য ভাঙ্গার জন্য এই অবৈধ সরকার, দুষ্কৃিতকারি সরকার সকল রকমের চেষ্টা করবে।তারা খুন-গুম, নিখোঁজ করার মাধ্যমে ভয় দেখানোর চেষ্টা করবে।তারা অর্থ ঘুষ দিয়ে চেষ্টা করবে মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য। তারা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার জোর করে খবর চাপানোর মাধ্যমে বিভ্রান্তির চেষ্টা করবে। কাজেই সব কিছু সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে, কোন কিছুতেই বিভ্রান্ত হলে চলবে না।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের লক্ষ্য একটি। লক্ষ্য একটি হলো আগামীতে আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের সরকার, যেই সরকার বাংলাদেশের জনগণ দ্বারা সঠিকভাবে নির্বাচিত হবে, জণগণের মাধ্যমে গঠিত হবে এবং যে সরকার হবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত, সে সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়া। এজন্য স্ব স্ব অবস্থান থেকে ডাক আসা পর্যন্ত প্রস্তুতি গ্রহণ করুণ।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button