সাত বছর গৃহযুদ্ধের পর সিরিয়া পুনর্গঠনের উদ্যোগ
গতিশীল হচ্ছে যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ সিরিয়া। বাণিজ্যিক এবং কৃষিভিত্তিক শহর গুলো ফিরছে তাঁর পুরনো চেহারায়। দীর্ঘ সাত বছরের গৃহযুদ্ধে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক মারা যাওয়ার পর ধীরে ধীরে পুনর্গঠিত হচ্ছে দেশটি।
সিরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর হোমস। কিন্তু গত তিন বছরে সরকার ও বিদ্রোহী দলের সংঘাতে প্রায় বিধ্বস্ত হয়ে যায় বাণিজ্য প্রধান এ শহরটি।
সংঘাতের কারণে ২০১৪ সালে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ২ হাজার বছরেরও পুরনো ঐতিহাসিক ফ্লেয়া মার্কেট। কিন্তু এতো দিনের ধ্বংসযজ্ঞের পর আবার নতুন করে শহরটির পুনর্নির্মাণের চেষ্ঠা করছে স্থানীয়রা। তাই ৪ বছর পর সম্প্রতি মার্কেটটি নতুন করে উদ্ভোদন করা হয়েছে। অতীতের ভয়াবহতা ভুলতে এই ধরণের প্রকল্প ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন এখানকার মানুষ। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজারেরও বেশি ব্যবসায়ী ফিরেছে শহরে।
অন্য দিকে দামাস্কাসের শিল্প এলাকা আদ্রা শহরে নির্মাণ করা হয়েছে নতুন একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার তৈরির কারখানা। এছাড়াও অন্যান্য কারখানা এবং রাস্তা নির্মাণের মাধ্যমে আমদানি ও রপ্তানি বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সিরিয়ার কেন্দ্রে অবস্থিত কৃষিকাজের জন্য আদর্শ একটি শহর “হামা”। গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর সরকারি ও বিদ্রোহী বাহিনী শহরটি দখলের জন্য প্রতিনিয়ত পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়। কিন্তু কয়েক মাস আগে সরকারি বাহিনী শহরটিকে নিয়ন্ত্রণে নেয়। এখন পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে দেশটির কৃষি খাত। ফলে হাসি ফুটছে কৃষকদের মুখে।