ব্রেক্সিট নিয়ে ক্রমেই চাপ বাড়ছে থেরেসা মের ওপর
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা, সংক্ষেপে ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে ক্রমেই চাপ বাড়ছে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মের ওপর। অন্যদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদর দপ্তরসহ দেশি ও বিদেশি কমর্কতার্রা ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্রমেই সরব হচ্ছেন।
গত সোমবার থেরেসা মের ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছেন দেশটির সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে’র ব্রেক্সিট পরিকল্পনা যুক্তরাজ্যের জন্য একটি দুযোর্গ ছাড়া আর কিছুই নয়।
একটি চুক্তির মাধ্যমে ইইউর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ৪০ বছরের সম্পকর্ শেষ করার মাত্র দুই মাস আগে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা তার ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে নিজের দলের মধ্যেই সমর্থন আদায় করতে সংগ্রাম করছেন। তিনি এই পরিকল্পনাকে যুক্তরাজ্যের জন্য ব্যবসা-বান্ধব বলে দাবি করলেও কার্যত গোটা দেশ এ বিষয়ে দুইভাগ হয়ে পড়েছে।
গত সোমবার ‘ডেইলি টেলিগ্রাফ’ পত্রিকায় লেখা এক নিবন্ধে বরিস জনসন বলেন, ‘থেরেসা মের পরিকল্পনা অনুযায়ী ইইউ ছাড়লে ব্রেক্সিটের বেশিরভাগ সুবিধা থেকে যুক্তরাজ্য বঞ্চিত হবে। আগের চেকার্স পরিকল্পনার মতো মানুষ এখানেও দুর্যোগ দেখতে পাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী থেরেসার যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পাটিের্ত বরিস জনসনকে বিবেচনা করা হলেও প্রধানমন্ত্রীর একটি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত জুলাই মাসে তিনি পদত্যাগ করেন।
নিবন্ধে তিনি বলেন, ইইউর সঙ্গে আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য বন্ধ করার লক্ষ্যেই মূলত থেরেসার পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। আর এর অর্থ হলো, নিজের ওপর থেকে যুক্তরাজ্য নিয়ন্ত্রণ হারাবে এবং অন্য দেশের সঙ্গে বৃহৎ কোনো বাণিজ্যচুক্তি করার সময় দুর্বল অবস্থানে থাকবে।