ভাড়াটিয়াদের লেটিং ফি ও ডিপোজিট নিষিদ্ধের দাবী জানিয়ে ১৯ বারার যৌথ চিঠি

আসছে টেনেন্টস ফি বিল

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলসহ রাজধানী লন্ডনের লেবার পার্টি নিয়ন্ত্রিত ১৯টি বারার বেসরকারী ভাড়াটিয়াদের লেটিং ফি এবং ডিপোজিট নিষিদ্বের দাবী জানিয়ে সরকারের হাউজিং মিনিস্টারের কাছে চিঠি দিয়েছে।

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের পক্ষে হাউজিং লিড মেম্বার কাউন্সিলার সিরাজুল ইসলাম এতে স্বাক্ষর করেছেন।

চলতি মাসে হাউজ অব পার্লামেন্টে উত্থাপিত হতে যাওয়া টেনেন্ট ফি বিলম্বকে সামনে রেখে তারা এই চিঠি দিয়েছেন।

২০১৬ সালে সরকার ঘোষণা দিয়েছিলো যে তারা টেনেন্ট ফি বিল পাশের মাধ্যমে ডিপোজিটে ক্যাপ আরোপের পাশাপাশি লেটিং ফি নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে।

এর আগে লন্ডন মেয়র সাদিক খানও লন্ডনের ২.৪ মিলিয়ন টেনেন্টদের স্বার্থ রক্ষার্থে টেনেন্টস বিলকে শক্তিশালী করার দাবী জানিয়েছিলেন।

লন্ডনের লেবার পার্টি নিয়ন্ত্রিত ১৯টি বারার হাউজিং লিড মেম্বাররা হাউজিং মিনিস্টার কিট ম্যাল’থহাউজ এমপির কাছে লেখা তাদের যৌথ চিঠিতে লেটিং ফি এবং ডিপোজিট নিষিদ্বের আহধ্বান জানানোর পাশাপাশি বিলটি সংশোধনেরও দাবী জানিয়েছেন। তাদের মতে বিলটি সংশোধন করা না হলে আইনের ফাঁক দিয়ে নতুন ফি আরোপের মাধ্যমে প্রাইভেট ভাড়াটিয়াদের শোষন করা হবে।

কারন প্রস্তাবিত বিলে উল্লেখ রয়েছে যে, লেটিং এজেন্টরা টেনেন্সি পিয়িয়ডে বেসিক সার্ভিসের জন্য ভাড়াটিয়াদের চার্জ করতে পারবেন। তারা একে ভাড়াটিয়াদের শোষনের আরেকটি মাধ্যম হিসাবে আখ্যায়িত করেছেন।

উল্লেখ্য যে, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল সাম্প্রতিক কালে প্রাইভেট ভাড়াটিয়াদের স্বার্থ রক্ষার্থে প্রাইভেট রেন্টার্স চার্টার চালু করেছে। এছাড়া বারার সর্বত্র ল্যান্ডলর্ড লাইসেন্সিং স্কিম চালুর জন্য সরকারের কাছে অনুমতি চেয়েছে। বর্তমানে মাত্র ৩টি ওয়ার্ডে এটি চালু আছে।

টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র জন বিগস এব্যাপারে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, টেনেন্টস ফি বিলটি আমাদের সামনে ভাড়াটিয়াদের সুরক্ষার একটি সুযোগ এনে দিয়েছে। তবে এতে অপব্যবহারের সুযোগ থাকায় এটি কাজ করবে না। আর এজন্য আমরা উদ্বিগ্ন।

মেয়র বলেন, খারাপ বাড়ীর মালিকদের শাস্তি দেয়ার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহনের মাধ্যমে আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এছাড়া এই সমস্যা মোকাবেলায় আমাদেরকে আরো ক্ষমতা দেয়ার জন্যও সরকারের কাছে দাবী জানিয়ে আসছি।

ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলার সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, আমাদের বারার বহু প্রাইভেট ভাড়াটিয়া ডিপোজিট এবং টেনেন্টেস ফি’র জন্য দূর্ভোগের মধ্যে আছেন এবং এর সাথে যোগ হয়েছে উচ্চ ভাড়া। প্রতিবার বাড়ী বদলানোর সময় তাদেরকে এই খরচ বহন করতে হয়।

কাউন্সিলার সিরাজ বলেন, প্রাইভেট ভাড়াটিয়াদের স্বার্থ রক্ষার জন্য টাওয়ার হ্যামলেটসে আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছি কিন্তু সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের আরো সহযোগিতা দরকার। সরকারের টেনেন্টেস বিল যাতে সত্যিকার অর্থে প্রাইভেট ভাড়াটিয়াদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারে এদিকে খেয়াল রাখতে হবে। কাউন্সিলাররা চিঠিতে অবৈধ ফি এর জন্য সর্বোচ্চ ৩০ হাজার পাউন্ড জরিমানার বিধান রাখার দাবী জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য যে, লেবার পার্টির গবেষণা মতে লন্ডনের ভাড়াটিয়াদের ২০১০ সালের তুলনায় বর্তমানে মাসে ৩শ পাউন্ড বেশী খরচ করতে হচ্ছে। এর অর্থ হচ্ছে ভাড়াটিয়াদের বার্ষিক খরচ বৃদ্ধি পেয়েছে ৩ হাজার ৬শ পাউন্ড। টেনেন্টস ফি বিলটি ৫ সেপ্টেম্বর হাউজ অব কমন্সে বিতর্কের জন্য উত্থাপনের কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button