বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার ৭৩ শতাংশ
বর্তমানে বাংলাদেশে সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ (প্রায় ৭৩)। গত বছর এ হার ৭২ দশমিক ৩ শতাংশ ছিল বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী এডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাক্ষরতা নিয়ে গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান। আগামীকাল ৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস সামনে রেখে এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে আরো উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব মোহাম্মদ আসিফ-উজ জামান, উপআনুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর মহাপরিচালক তপন কুমার ঘোষ প্রমুখ।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, নব্বইয়ের দশকে ‘সবার জন্য শিক্ষা’ অর্জনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশেও সাক্ষরতা বিস্তারে বিভিন্ন উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। দেশে সার্বিক সাক্ষরতা আন্দোলন কর্মসূচির মাধ্যমে ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত প্রায় এক কোটি ৮০ লাখ নিরক্ষরকে সাক্ষরতা জ্ঞান দেয়া হয়। বর্তমান সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭২ দশমিক ৯ শতাংশ।
‘সাক্ষরতা অর্জন করি, দক্ষ হয়ে জীবন গড়ি’ স্লোগানে এবার বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালন করা হবে। ৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শিল্পকলা একাডেমি পর্যন্ত র্যালি এবং এই একাডেমিতে আলোচনা সভা হবে। এছাড়া জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সাক্ষরতা দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান গণশিক্ষা মন্ত্রী।
গণশিক্ষামন্ত্রী বলেন, দেশে নিরক্ষরতা দূরীকরণে ১৫ থেকে ৪৫ বছর বয়সী ৪৫ লাখ নিরক্ষর নারী-পুরুষকে সাক্ষরতা জ্ঞান দেওয়ার জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো মৌলিক সাক্ষরতা প্রকল্প (৬৪ জেলা) বাস্তবায়ন করছে।
নিরক্ষর ব্যক্তি ৩ কোটি ২৫ লাখ। আর বিদ্যালয় বহির্ভূত ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশু ১০ লাখ। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে নিরক্ষরদের সাক্ষরতা জ্ঞান এবং বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা দেয়া হবে।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দেশে এখন নিরক্ষর ব্যক্তি ৩ কোটি ২৫ লাখ। আর বিদ্যালয় বহির্ভূত ৮ থেকে ১৪ বছর বয়সী শিশু ১০ লাখ। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে নিরক্ষরদের সাক্ষরতা জ্ঞান এবং বিদ্যালয় বহির্ভূত শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন উন্নীতের বিষয়টি সরকারের কাছে তুলে ধরা হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এটি বাস্তবায়নের ব্যাপারটাও সরকারের। প্রাথমিক শিক্ষার মন্ত্রী যদি বলে দেয় তাহলে এটা হবে না। সরকার যখন সিদ্ধান্ত নেবে তখন এটা হবে, তবে এটা পরিত্যক্ত হয়নি, তাদের দাবি প্রত্যাখ্যাতও হয়নি। তাদের বিষয়টি যুক্তিযুক্তভাবে আলোচনা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, আর কয়েক মাসের মধ্যে নির্বাচন হবে, আমি মনে করি যারা আন্দোলন করছেন তারাও বুঝবেন যে আওয়ামী লীগ সরকারই শিক্ষার জন্য, সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও সম্মান বৃদ্ধি করেছেন।
আমি মনে করি তাদের আশ্বস্ত থাকা দরকার, এই সরকারের ধারাবাহিকতা থাকলেই বরং তাদের আশাটা পূর্ণ হতে পারে বলে আমি মনে করি। আমি আহ্বান জানাব কোনো হটকারি কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে তাদের অপেক্ষা করা দরকার। সরকারের কাছ থেকে সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত পঞ্চম শ্রেণিতে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা চলতে থাকবে বলে জানান গণশিক্ষা মন্ত্রী।