পাঁচ মিনিটে ক্যানসার শনাক্তকরণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন বাংলাদেশে

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক উদ্ভাবন করেছেন অভাবনীয় প্রযুক্তির। রক্তের নমুনা পরীক্ষা করেই মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে ক্যান্সার শনাক্ত করতে পারবে এই প্রযুক্তি। আর এতে খরচ পড়বে রক্ত পরীক্ষার মতোই ৫০০ টাকারও কম। আগামী এক বছরের ভেতরে মানুষ এই প্রযুক্তির সুফল পাবে। ক্যানসার শনাক্তকরণে সময় ছাড়া খরচও একেবারে কমে আসবে বলে জানিয়েছে গবেষক দলটি। তাদের মতে বিশ্বে এমন প্রযুক্তি এই প্রথম।

বুধবার দুপুরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, যুগান্তকারী এ উদ্ভাবন আমাদের দেশের জন্য একটা ঐতিহাসিক ঘটনা। যুগান্তকারী উদ্ভাবন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন ইয়াসমীন হক যিনি গবেষক দলের প্রধান ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক। সাংবাদিক সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি মুখলেসুর রহমান প্রমুখ।

সাংবাদিক সম্মেলনে দলটির প্রধান গবেষক শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হক জানান, এর মাধ্যমে ক্যানসার শনাক্ত করতে খরচ হবে মাত্র ৫শ টাকা। তবে আগামী এক বছরের মধ্যে এই প্রযুক্তি চূড়ান্ত করা হবে। এ পদ্ধতিতে বায়োকেমিক্যাল পদ্ধতিতে ক্যানসার শনাক্ত করতে যে বায়োমার্কারের প্রয়োজন হতো তা আর লাগবে না। ফলে খরচ ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা থেকে নেমে ৫শ-তে এসে ঠেকবে। এমনকি আগে ৭ থেকে ৮ দিন সময় লাগতো। কিন্তু এখন তা লাগবে মাত্র ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা।

আরও বলা হয়, এই প্রযুক্তির ফলে অতি অল্প সময়ে ক্যানসার শনাক্তকরণের মাধ্যমে অনেক প্রাণ বাঁচানো সহজ হবে। ‘মেথড অ্যান্ড সিস্টেম বেজড ননলিনিয়ার অপটিক্যাল ক্যারেকটারিস্টিক অব বডি ফ্লুয়িড ফর ডায়াগনসিস অন নিওপ্লাসিয়া’ শিরোনামের এ প্রযুক্তির পেটেন্টের জন্য যৌথভাবে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রে আবেদন করা হয়েছে।

উচ্চশিক্ষা মানোন্নয়ন প্রকল্পের (হেকেপো) অর্থায়নে সম্পাদিত অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন হকের নেতৃত্বে এই গবেষক দলটিতে আরও রয়েছেন অধ্যাপক ড. শরীফ মো. শরাফ উদ্দীন, মানস কান্তি বিশ্বাস ও এনামুল হক।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও দেখুন...
Close
Back to top button