ওয়াশিংটনে বন্ধ করে দেয়া হবে ফিলিস্তিনের দূতাবাস!
ওয়াশিংটনে ফিলিস্তিনের কূটনৈতিক মিশন বন্ধ করে দেবে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। তার প্রশাসন থেকে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে (পিএলও) এ তথ্য জানিয়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পিএলও। যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনের এই দূতাবাসকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়।
ফিলিস্তিনি একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, তার অফিসকে যুক্তরাষ্ট্র জানিয়ে দিয়েছে যে, ওয়াশিংটনে তাদের দূতাবাস বন্ধ করে দেয়া হবে। তার দাবি, ইসরাইলের অপরাধকে সুরক্ষা দিতে এমন সিদ্ধান্ত নিচ্ছে মার্কিন সরকার। জবাবে পিএলও নেতা সায়েব এরেকার বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন নীতিতে তারা মাথা নিচু করবেন না। ইসরাইলের বিরুদ্ধে তারা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন না। সায়েব এরেকার আরও বলেন, আমরা বার বার বলেছি, ফিলিস্তিনি মানুষদের অধিকার বিক্রির জন্য নয়। এমনও নয় যে, যুক্তরাষ্ট্রের হুমকি ধমকিতে আমরা হুঁশ হারাবো।
সোমবার ডনাল্ড ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বল্টনের দিনশেষে এ বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার কথা আছে। ধারণা করা হচ্ছে তাতে তিনি ওয়াশিংটনে ওই দূতাবাস বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দেবেন। এর কারণ, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ইসরাইলের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের শান্তি প্রক্রিয়াকে প্রত্যাখ্যান করা।
দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতে জন বল্টন বলতে পারেন, ইসরাইলের সঙ্গে সরাসরি ও অর্থপূর্ণ সমঝোতা শুরুতে ফিলিস্তিনিদের অস্বীকৃতির ফলে ওই অফিস বন্ধ করে দেবে ট্রাম্প প্রশাসন। তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে অবরোধ দেয়ার হুমকিও দিতে পারেন। বলতে পারেন, যদি আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে তদন্ত করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অবরোধ দেয়া হবে। এর আগে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ট্রাম্পের নীতিকে মুখের ওপর চপেটাঘাত বলে আখ্যায়িত করেছেন। জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্বীকৃতি দেয়ার পর এমন মন্তব্য করেছিলেন ট্রাম্প।