‘ওয়ার্ল্ড মুসলিমা’ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ
পুরো নাম নাজনিন সুলতানা লিজা। বুধবার ইন্দোনিশয়ায় অনুষ্ঠিতব্য ব্যতিক্রমধর্মী সুন্দরী প্রতিযোগিতা ‘ওয়াল্ড মুসলিমা’র চুড়ান্ত প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে যাচ্ছেন তিনি। বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোর ১০০ সুন্দরী মেয়ে এ প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করে। সর্বশেষ ২০ জনকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা।
বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে গত ৮ সেপ্টেম্বর ইন্দোনেশিয়ার উদ্যেশ্যে যাত্রা করেন চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের লিজা। প্রাথমিকভাবে ১০০ জন প্রতিযোগীর মধ্যে অংশ নিয়ে সে এখন সেরা ২০- এ অবস্থান করছেন। লিজার মা জমিলা আক্তারের বিশ্বাস তার মেয়ে ‘ওয়াল্ড মুসলিমা’ সুন্দরী প্রতিযোগিতায় চ্যম্পিয়ন হয়ে বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে। এজন্য তিনি সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন।
এবারের ‘ওয়ার্ল্ড মুসলিমা’ পুরস্কার হিসেবে থাকছে দুই কোটি ৫০ লাখ ইন্দোনেশিয়ান রুপিয়া অর্থাৎ দুই হাজার ২০০ ডলার। এর বাইরে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে থাকছে সৌদি আরবে হজ্ব করা এবং তুরস্ক ও ভারতে আনন্দভ্রমণের সুযোগ।
লিজার মা বলেন, লিজার সহপাঠী তৃনার বড় বোন জেবার মাধ্যমে সে প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়েছে। জেবা তিন বছর ধরে ইন্দোনেশিয়ায় অবস্থান করছেন। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার জন্য লিজাকে জেবাই উৎসাহ দেয়। প্রাথমিকভাবে লিজার ছবি ইন্দোনেশিয়ায় পাঠালে সে প্রতিযোগিতার জন্য মনোনীত হয়। আসা-যাওয়ার খরচ বহন করছেন আয়োজকরাই।
এদিকে, এলাকার মেয়ে বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ায় আনন্দের বন্যা বইছে মিরসরাই জুড়ে। মিরসরাইয়ের গণ্ডি পেরিয়ে আলোচনা ছড়িয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত। এ বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী লিজা। প্রতিদিনই লিজার বাড়িতে বাড়ছে মানুষের ভীড়। সবার আশা লিজা তাদের সবার মেয়ে। বাংলাদেশের মেয়ে। সে এ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হবেই।
মিরসরাই উপজেলার ১৫ নম্বর ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ ওয়াহেদপুর এলাকার ফিরোজ আলম ও জমিলা আক্তারের তিন মেয়ে এক ছেলে মধ্যে লিজা সবার বড়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী লিজা অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, এটা মিস ওয়ার্ল্ড- এর চেয়ে আলাদা কারণ, ওখানে বাইরের সৌন্দর্যটাই বেশি প্রাধান্য পায় আর এখানে ভেতরের সৌন্দর্যটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।