টাওয়ার হ্যামলেটসে শিক্ষার্থী প্রতি বরাদ্দ কমছে ৪৪৮ পাউন্ড
স্কুল বাজেট কাটের বিরুদ্ধে পরিচালিত ক্যাম্পেইনকে অনুমোদন দিলো কাউন্সিল
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল আনুষ্ঠানিকভাবে স্কুলগুলোর বাজেট কাটের বিরুদ্ধে পরিচালিত ক্যাম্পেইনকে অনুমোদন দিয়েছে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর, বুধবার কাউন্সিল অধিবেশনে মেয়র জন বিগস এবং কাউন্সিলার ড্যানি হ্যাসেল উত্থাপিত মোশনটি পাশের মধ্যে দিয়ে এই অনুমোদন লাভ করে।
মোশনে উল্লেখ করা হয় যে, টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের স্কুলগুলো ২০২০ সালের মধ্যে ১৬ মিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ হারাবে। অর্থাৎ শিক্ষার্থী প্রতি ৪৪৮ পাউন্ড বরাদ্দ কমবে।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের পর ইংল্যান্ডের স্কুলগুলোর বাজেট ইতিমধ্যে ২.৮ বিলিয়ন কমেছে। সরকারের নতুন ফান্ডিং ফর্মূলা (এনএফএফ) বাস্তবায়িত হলে এই বাজেট আরো কমবে। এই ফর্মূলা বাস্তবায়িত হলে টাওয়ার হ্যামলেটসের মতো দরিদ্র এলাকাগুলোর বাজেট অন্য জায়গায় চলে যাবে।
কাউন্সিল অধিবেশনে মোশন পাশের পর মেয়র জন বিগস তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমাদের স্কুলগুলো বাজেট কাটের কারনে এমনিতেই ভূগছে। সরকারের আচরনে মনে হচ্ছে এটি সহসাই বন্ধ হবে না। সরকারের পরিকল্পনা মোতাবেক টাওয়ার হ্যামলেটসের স্কুলগুলো আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ১৬ মিলিয়ন পাউন্ড হারাবে। ফলে বারার স্কুল শিক্ষার্থীদের জীবনে এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। পাশাপাশি দীর্ঘ মেয়াদে এর নেতিবাচক সামাজিক প্রভাবও রয়েছে।
মেয়র বলেন, টাওয়ার হ্যামলেটসের মতো একটি দরিদ্র বারার স্কুলগুলোর এধরনের বাজেট কাট সত্যিকার অর্থেই একধরনের কেলেংকারী।
স্কুল এবং ইয়ং পিপল বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলার ডেনী হ্যাসেল বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমাদের স্কুলগুলো ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। সরকারের বাজেট কাট এই অগ্রগতির জন্য বিরাট একটি ধাক্কা। স্কুলগুলো ইতিমধ্যেই স্টাফ কমানো শুরু করেছে। আগামীতে তাদের পক্ষে বেসিক সার্ভিস প্রদানই কষ্টকর হবে। এই বাজেট কাটকে প্রতিহত করার জন্য আমরা অভিভাবক, ইউনিসন, শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সাপোর্ট স্টাফদের নিয়ে ক্যাম্পেইন চালিয়ে যাচ্চিছ।
ন্যাশনাল এডুকেশন ইউনিয়নের জয়েন্ট সেক্রেটারী কেভিন কার্টনি তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ন্যাশনাল এডুকেশন ইউনিয়ন স্কুল বাজেট কাটের বিরুদ্ধে টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ক্যাম্পেইনকে পূর্ণ সমর্থন জানাচ্ছে। সরকারের উচিৎ ২০১৫ সালের পর থেকে এপর্যন্ত কেটে ফেলা ২.৮ বিলিয়ন পাউন্ড ফিরিয়ে দেয়া।
তিনি বলেন, বাজেট কাটের কারনে হেড টিচারদের অনেক কিছুর সাথেই আপোষ করতে হচ্ছে। শিক্ষক এবং সাপোর্ট স্টাফ কমে যাচ্ছে, বিল্ডিং রিপেয়ার স্থগিত হচ্ছে, কারিকুলাম থেকে কমে যাচ্ছে সাবজেক্ট। বিশেষ করে মিউজিক, ড্রামা, ড্যান্স, আর্ট ক্লাসগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। বড় হচ্ছে ক্লাস সাইজ। ফলে হেড টিচারদের বাধ্য হয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে অভিবাবকদের কাছে সাহায্য চাইতে হচ্ছে। তিনি অভিলম্বে সরকারকে তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য দাবী জনিয়েছেন।