ইরান ইস্যুতে বাড়ছে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের দূরত্ব
ইরানের পরমাণু ইস্যুতে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও দেশটির সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে আমেরিকার সাথে ইউরোপের দুরত্ব বাড়ছে দিন দিন।
সোমবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন ঘোষণা করেছে, তারা ইরানের সঙ্গে কূটনৈতিক আলোচনা থেকে সরে আসবে না। পরমাণু সমঝোতা রক্ষার জন্য তারা ইরানি পণ্যের রপ্তানির অর্থ পরিশোধের ব্যবস্থা করবে।
এছাড়া, ইরানের পরমাণু চুক্তি বাস্তবায়ন ও দেশটির ওপর নিষেধাজ্ঞার প্রভাব কমাতে সম্মত হয় পাঁচটি দেশ। নিউইয়র্কে ফ্রান্স, ব্রিটেন, জার্মান, রাশিয়া ও চীনের পরবাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফের সাথে বৈঠকে এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন বা ইইউ’র পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান কর্মকর্তা ফেডেরিকা মোগেরিনির সভাপতিত্বে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৫ সালে ছয় দেশের সঙ্গে স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতায় মধ্যস্থতা করেছিলেন মোগেরিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার পরও ইরানের তেল বিক্রি স্বাভাবিক রাখতে ও ইরানের সঙ্গে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় লেনদেন শুরু করতে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ে তোলারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিকে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন বলেছেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন কথায় খুব শক্তিশালী এবং বাস্তবায়নে দুর্বল। যাই হোক, আমরা ইউরোপ কিংবা অন্য কাউকে আমাদের নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর সুযোগ দেব না।
ইউরোপীয় ইউনিয়নে এ ঘোষণার পর মঙ্গলবার ইরান-বিরোধী এক অনুষ্ঠানে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছেন, “ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই অবস্থানের কারণে তিনি বিরক্ত এবং প্রকৃতপক্ষে গভীরভাবে হতাশ।”
তিনি বলেন, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি এবং নিরাপত্তার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই ঘোষণা হচ্ছে মারাত্মক রকমের পাল্টা পদক্ষেপ।