যে কোনো মূল্যে জনগণের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করা হবে : প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অপপ্রচার আর বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্ঠি করে একটি মহল দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাইছে। তিনি দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, সরকার যে কোনো মূল্যে জনগণের সাংবিধানিক ও ভোটাধিকার রক্ষা করবে।
বৃহস্পতিবার সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের মধ্যে পারষ্পারকি আস্থা ও শ্রদ্ধা বজায় রেখে সশস্ত্র বাহিনী ও সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতেও নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে নবগঠিত সদর দপ্তর ৯৯ কম্পোজিট ব্রিগেডের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হলো। সেনাসদরে আর্মি এভিয়েশনের হ্যাঙ্গার প্রাঙ্গনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ব্রিগেডের পতাকা উত্তোলন করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে ২০ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্যাটালিয়ন ৫৮ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও ৩৪ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টেরও যাত্রা শুরু হলো।
পরে সেনাসদরে আয়োজিত দরাবারে হলে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারের বিভিন্ন খাতসহ সশ্রস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নের বিস্তারিত চিত্র ফুটে ওঠে তার বক্তব্যে। সেনাসদস্যের বেতনভাতা, আবাসন, খাবার, জনবল, প্রযুক্তি, অবকাঠামো ও আধুনিক সরঞ্জাম সংযোজন সূচকে গণতান্ত্রিক সরকারের ভূমিকা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমি মনে করি আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতীক। সশস্ত্র বাহিনীর ব্যাপারে আমাদের রয়েছে সুস্পষ্ট ও স্বচ্ছ দৃষ্টিভঙ্গি। আমরা একটা দক্ষ, সুশৃঙ্খল, সুসজ্জিত, শক্তিশালী সশস্ত্র বাহিনী চাই। যেটা আন্তর্জাতিকভাবে সমমর্যাদা নিয়ে আমাদের বাহিনী বিশ্বের দরবারে চলতে পারবে। সেইভাবেই আমরা তৈরি করতে চাই।
একটি মহল ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরিতে তৎপর রয়েছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, তার সরকার যে কোনো উপায়ে জনগণের সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করবে।
তিনি আরও বলেন, আমি জনগণের ক্ষমতায়নে বিশ্বাস করি। আর জনগণের ক্ষমতায়ন মানে জনগণের অধিকার নিশ্চিত করা। কাজেই জনগণের এ ভোটের অধিকার আমরা নিশ্চিত করেছি।
এ সময় সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যদের মধ্যে পারষ্পারিক আস্থা ও শ্রদ্ধা বজায় রেখে সশস্ত্র বাহিনী ও সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।