আগামী মাসে তুরস্কে উদ্বোধন হচ্ছে বিশ্বের সর্ববৃহৎ এয়ারপোর্ট

নিজাম উদ্দীন সালেহ: আগামী মাসে বিশ্বের সর্ববৃহৎ বিমান বন্দর ইস্তান্বুল নিউ এয়ারপোর্টে চূড়ান্ত পরীক্ষামূলক ফ্লাইট চালু হবে। ২৯ অক্টোবর একটি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে চালু হতে যাচ্ছে এই বিমান বন্দর। ৩১ অক্টোবর চালু হবে প্রথম আনুষ্ঠানিক ফ্লাইট।

ইতোমধ্যে, এই বিমান বন্দরে ইনস্ট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম (আইএলএস) এর ফ্লাইট কন্ট্রোল টেস্ট সম্পন্ন হয়েছে, যাতে বিমানসমূহ নিরাপদে ও ঝামেলামুক্তভাবে এমনকি অত্যন্ত খারাপ আবহাওয়ায়ও অবতরণ করতে পারে।

১ লক্ষ বর্গ মিটার জায়গাজুড়ে স্থাপিত এই বিমান বন্দরে সর্বমোট ২৫ হাজার গাড়ির পার্কিং সুবিধা রয়েছে। এখানে রয়েছে ১৪৩ টি বোর্ডি ব্রীজ, একটি ৪২ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্যাগেজ হ্যান্ডেলিং সিস্টেম। রয়েছে ৫৫ লাখ টন মালামালের ক্ষমতাসম্পন্ন কার্গো ব্যবস্থা। এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ব্যক্তির।

এতে এমন ব্যবস্থা ও আধুনিক সরঞ্জামাদি স্থাপন করা হয়েছে, যার ফলে বিমান বন্দরটি দৃশ্যমান না হলেও বিমান অবতরণ করতে পারবে। ২৯ অক্টোবরের অনুষ্ঠানে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান স্বয়ং উপস্থিত থাকবেন।
সংশি্লষ্ট তুর্কী মন্ত্রী তুরহান বলেন, বিমান বন্দরের অবশষ্টি কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, ২০ থেকে ২৩ অক্টোবর তুরস্কের প্রথম অ্যারোস্পেস এন্ড টেকনোলজি ফেস্টিভ্যাল ‘টেকনোফেস্ট’ অনুষ্ঠিত হবে। আর বিমান বন্দরটি উদ্বোধন হবে তুরস্কের ৯৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে।

নগরীর তৃতীয় বিমান বন্দর ইস্তান্বুল নিউ এয়ারপোর্টটি দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আতাতুর্ক ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে। এই বিমান বন্দরের বর্তমান ক্যাপাসিটি বার্ষিক ৯ কোটি যাত্রী। এতে রয়েছে একটি মূল এয়ার ট্রাফিক টাওয়ার, ২টি রানওয়ে-এর একটি ৩.৭৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং অপরটির দৈর্ঘয ৪.১ কিলোমিটার।

এর উত্তর দক্ষিণে সুপরিসর এ ৩৮০ বিমান অবতরণের জন্য ৬০ মিটার প্রস্ত রানওয়ে রয়েছে। রয়েছে বিমান ধারণের উপযোগী একটি পার্কিং এলাকা। এতে আছে মূল টার্মিনালে প্রবেশের জন্য ১১৪টি প্রবেশ পথ, অনেকগুলো হ্যাঙ্গার, কার্গো-ওয়্যারহাউস, ক্যাটাগরিং এন্ড গ্রাউন্ড সার্ভিসেস এবং ১৮ হাজার গাড়ি রাখার উপযোগী একটি পার্কিং গ্যারেজ।

মন্ত্রী তুরহান আরো জানান, এই নতুন বিমান বন্দরে ভাড়ায় স্থানলাভের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম কার্গো সার্ভিস ইউপিএস, ফেডএক্স এবং ডিএইচএল আবেদন জানিয়েছে। এই বিমান বন্দর প্রতিদিন সাড়ে ৩ হাজার ফ্লাইট ওঠানামার উপযোগী। সর্বশেষ সম্প্রসারণ কাজ সম্পন্ন হলে বার্ষিক ১৫ কোটি যাত্রী ধারণে সক্ষম হবে ইস্তান্বুল নিউ এয়ারপোর্ট। তবে ধীরে ধীরে এই সংখ্যা উন্নীত হবে ২০ কোটি যাত্রীতে।

ক্ষমতাসীন জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (একে পার্টি) অনেকগুলো মেগা প্রকল্পের মধ্যে এই বিমান বন্দরটি অন্যতম। ১ লক্ষ বর্গ মিটার জায়গাজুড়ে স্থাপিত এই বিমান বন্দরে সর্বমোট ২৫ হাজার গাড়ির পার্কিং সুবিধা রয়েছে। এখানে রয়েছে ১৪৩ টি বোর্ডি ব্রীজ, একটি ৪২ কিলোমিটার দীর্ঘ ব্যাগেজ হ্যান্ডেলিং সিস্টেম। রয়েছে ৫৫ লাখ টন মালামালের ক্ষমতাসম্পন্ন কার্গো ব্যবস্থা। এখানে কর্মসংস্থান হয়েছে ২ লাখ ২৫ হাজার ব্যক্তির। এই বিমান বন্দর থেকে বছরে প্রায় দেড় লক্ষ কোটি টাকা আয় হবে বলে কর্তৃপক্ষের প্রত্যাশা।

আরও পড়ুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button