মুসলমানদের সম্পর্কে এ কী বললেন ভারতীয় মন্ত্রী!
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পমন্ত্রী, বিহারের দোর্দণ্ডপ্রতাপ বিজেপি নেতা গিরিরাজ সিংহ দাবি করে বসলেন, ‘মুঘল সম্রাট বাবর নয়, মুসলিমরা রামের বংশধর। তাই তাঁদের অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত।’
মথুরার নওঝিল এলাকায় একটি অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন গিরিরাজ। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ভারতের হিন্দুরা ধৈর্য্য হারালে দখল করা হবে তিনটি পবিত্র তীর্থস্থান—মথুরা, অযোধ্যা এবং কাশী। ধর্ম ও মন্দির রাজনীতির ছিল তাঁর বক্তব্যের সারবস্তু। রাহুল গান্ধীর ‘শিবভক্ত’ হিসেবে নিজেকে দেখানোর চেষ্টাকেও কটাক্ষ করেন গিরিরাজ। রাহুলকে উদ্দেশ্য করে তার মন্তব্য, ‘‘ প্রকৃত হিন্দু হলে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গোমাংস খাওয়া বন্ধ করুন। আর শুধুমাত্র নির্বাচনের আগে মন্দির পরিদর্শন বন্ধ করুন।’’
রাহুলকে আক্রমণের প্রশ্নে অবশ্য বরাবরই বাড়তি তৎপরতা দেখান গিরিরাজ। রাহুলের কৈলাসযাত্রার সমস্ত ছবিই ভুয়ো বলে দাবি করেছিলেন তিনি। যদিও পরে গিরিরাজের দাবি ভুল প্রমাণিত হয়েছিল। তার আগে বিহারের জেলে গিয়ে ‘গোরক্ষা’র দাবিতে গণপিটুনিতে অভিযুক্তদের সঙ্গে দেখা করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন গিরিরাজ।
স্বভাবসিদ্ধ ভাবে মথুরার সভায় গিরিরাজের ভাষণে শিষ্টাচারের কোনও বালাই ছিল না। মন্দির রাজনীতি ছাড়াও তার আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরাই। কয়েক দিন আগেই আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত জানিয়েছিলেন, সমস্ত ভারতীয়রাই হিন্দু। শুধু তাই নয়, গত বেশ কিছুদিন ধরেই রামমন্দির ইস্যুতে দেশজুড়ে সরব হতে দেখা যাচ্ছে কট্টর হিন্দুত্ববাদীদের। তাই গিরিরাজের এই মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এর আগে গত সোমবার বিজেপি নেতা ও সাংসদ সুব্রানিয়াম স্বামী বাংলাদেশকে দখল করার হুমকি দিয়েছিলেন।