ব্রেক্সিট: পিপলস ভোট আয়োজনের জন্য টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের আহ্বান
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল সরকারের ‘হার্ড ব্রেক্সিট পরিকল্পনা’কে বাতিলের আহ্বান জানিয়ে ফাইনাল ব্রেক্সিট ডিলের উপর আরেকটি গণভোট (পিপলস ভোট) আয়োজনের অনুরুধ করেছে।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর কাউন্সিল অধিবেশনে এ সংক্রান্ত মোশন পাশের পর কাউন্সিলের পক্ষ থেকে অফিসিয়ালী এই দাবী জানানো হয়।
মোশনে সরকারের হার্ড পরিকল্পনার সমালোচনা করা হয়। বলা হয় ফাইনাল ব্রেক্সিট ডিলের উপর অবশ্যই জনগনের মতামতের প্রতিফলন থাকতে হবে। আর এজন্যই ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে থাকার বেনিফিটগুলোর বিষয়ে আরেকটি গণভোট তথা পিপলস ভোট হওয়া দরকার। নির্বাহী মেয়র জন বিগস এবং ব্রেক্সিট বিষয়ক কেবিনেট মেম্বার কাউন্সিলার আমিনা আলী এই মোশনটি উত্থাপন করেন। মোশনটি নিয়ে কাউন্সিল অধিবেশনে আলোচনাকালে কাউন্সিলাররা সরকারের ব্রেক্সিট সংক্রান্ত কার্যকলাপের সমালোচনা করেন। তারা একই সাথে ২০১৬ সালে কোয়ালিশন সরকারের অংশীদার হিসাবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক দলেরও তীব্র সমালোচনা করেন।
কাউন্সিলাররা বলেন, সেসময় সরকারের অংশীদার হিসাবে গণভোট নিয়ে তাদের ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে আছে।
মেয়র জন বিগস বলেন, ব্রেক্সিট নিয়ে চারিদিকে ব্যাপক অনিশ্চয়তা বিদ্যমান এবং এনিয়ে সরকারের খুব একটা মাথা ব্যাথা আছে বলে মনে হয় না। তারা স্থানীয় বাসিন্দা, কমিউনিটি এবং ব্যবসায়ীদের পক্ষে দাঁড়াতে ব্যর্থ হয়েছেন।
মেয়র বলেন, আমাদের মোশনটি পিপলস ভোটের পক্ষে এবং পিপলস ভোটের দাবী জানিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে চিাঠ লিখবো। টাওয়ার হ্যামলেটসের বাসিন্দারা ইউতে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছেন আর এজন্যই তাদের জন্য একটা পিপলস ভোটের দাবী ন্যায়সঙ্গত।
কাউন্সিলার আমিনা আলী বলেন, পিপলস ভোটের জন্য ক্যাম্পেইন ক্রমাগতভাবে বাড়ছে এবং আমরা এর পক্ষে সরকারের কাছে পরিষ্কার বার্তা পাঠাতে সক্ষম হয়েছি। পিপলস ভোটের দাবী জানানোর পাশাপাশি ব্রেক্সিট বিষয়ে আমাদের প্রস্তুতিটা গুরুত্বপূর্ন। আর এজন্যই আমরা ব্রেক্সিট কমিশন কঠন করেছি যাতে করে বাসিন্দারা যে কোন পরিস্থিতির জন্য তৈরী থাকতে পারেন।