চার বছরের মধ্যে তেলের দাম সর্বোচ্চ
বিশ্ববাজারে তেলের দাম বৃদ্ধি অব্যাহত
বুধবার প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ব্রেন্টের দাম ছিল ৮৪.৮৯ মার্কিন ডলার
মার্কিন ডলারের শক্তিশালী অবস্থান ও যুক্তরাষ্ট্র খনিজ তেলের উত্তোলন বাড়ানোর পরও গতকাল বুধবার বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়েছে। আগামী মাস থেকে ইরানের জ্বালানি শিল্পের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হতে যাওয়ায় আগেই এমন ধারণা করা হয়েছিল। এর ফলে চার বছরের মধ্যে তেলের দাম সর্বোচ্চ হলো।
বুধবার প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল ব্রেন্টের দাম ছিল ৮৪.৮৯ মার্কিন ডলার যা আগের দামের চেয়ে ৯ সেন্ট বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট-ডব্লিউটিআই’র দাম ৫ সেন্ট বেড়ে হয়েছে ৭৫.২৪ ডলার। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আগামী ৪ নভেম্বর থেকে ইরানের তেল রফতানির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার খবরের কারণেই বিশ্ব বাজারের তেলের দাম বাড়ছে।
২০১৪ সালের নভেম্বর মাসের পর এই সপ্তাহের প্রথম দিকে ব্রেন্ট ও ডব্লিউটিআই তেলের দাম এই পর্যায়ে পৌঁছেছে। গত আগস্ট মাসের মাঝামাঝি থেকে দুই ধরনের তেলের দাম যথাক্রমে ২০ ও ১৭ শতাংশ বেড়েছে। এরপরও ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের শক্তিশালী অব্স্থার কারণে তেলের দাম এখনও তেমন বাড়েনি। তবে অভ্যন্তরীণভাবে অন্য মুদ্রা ব্যবহারকারীদের জন্য তেল আমদানি আরও বেশি ব্যয়বহুল হবে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র তেল উত্তোলন বাড়ানোয় ডলারের দাম আরও বাড়বে।
আমেরিকান পেট্রোলিয়াম ইনস্টিটিউট-এপিআই মঙ্গলবার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এই সপ্তাহে বাণিজ্যিক অপরিশোধিত তেল উত্তোলনের পরিমান ৯ লাখ ৭ হাজার ব্যারেল বাড়িয়েছে। পরিশোধিত তেলের উৎপাদন এখন প্রতিদিন এক লাখ ৫৮ হাজার ব্যারেল। এছাড়া আনুষ্ঠানিকভাবে সরকারি তথ্য-উপাত্ত বুধবার প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছে এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন বিরামহীন তেল উৎপাদনের কারণে মজুতও বাড়ছে। মঙ্গলবার বার্কলেইস ব্যাংক এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা আশা করি যুক্তরাষ্ট্রের তেল উৎপাদন এই বছরের মধ্যে প্রতিদিন এক কোটি ১৩ লাখ ব্যারেলে পৌঁছাবে।’
এর অর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্র তেলের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশ্বের বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী দেশ রাশিয়াকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে।