অর্থনৈতিক ধসের ঝুঁকিতে বিশ্ব অর্থনীতি
বিশ্ব অর্থনীতি আবারও ঝুঁকির মুখে রয়েছে বলে আশঙ্তা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সংস্থাটি জানায়, সরকার ও নীতিনির্ধারকদের ব্যর্থতায় অর্থনৈতিক ধস নেমে আসতে পারে। দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ থেকে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে বাঁচাতে সংস্কার দরকার। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮ সালে অর্থনৈতিক মন্দার সময়ের চেয়ে এখন ঋণের পরিমাণ অনেক বেশি। অর্থনৈতিক ব্যবস্থার কিছু অংশে অব্যবস্থাপনার কারণে বিশ্বে আতঙ্ক সৃষ্টি হতে পারে।
আইএমএফ জানায়, বিগত ১০ বছরে ব্যাংকের রিজার্ভ বাড়াতে অনেক কিছু করা হয়েছে। কিন্তু ভালোসময়েই যেন ঝুঁকি বাড়ে। যেকোনও নতুন খাতের মাধ্যমে এই পরিস্থিতির তেরি হতে পারে।
বর্তমানের নিম্ন সুদের হার ও অস্থিরতার কারণেই এই ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে। সংস্থাটি জানায়, পর্যবেক্ষকদের পরিস্থিতি মোকাবিলায় সতর্ক থাকতে হবে। চীনের তথাকথিত ছায়া-ব্যাংকগুলো থেকে এই ঋণের পরিমাণ বেড়ে গেছে। হাজার হাজার কোটি ডলার নিয়ে কাজ করা বীমা প্রতিষ্ঠান কিংবা অ্যাসেট ম্যানেজারদের ওপরও কঠোর কোনও নীতিমালা আরোপ করা যায়নি।
২০০৮ সালের ধসের সময় জেপি মরগ্যান ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না এর মতো বেড়ে ওঠা ব্যাংকগুলোও এখন ব্যর্থ হতে পারে। আইএমএফ এর গ্লোবাল ফিন্যানসিয়াল স্ট্যাবিলিটি প্রতিবেদনেও অনেকটা একই কথা বলা হয়। তারা জানায়, আন্তর্জাতিক চুক্তিতে অর্থনৈতিক ধসের বিষয়টি মাথায় রাখা হচ্ছে না। এ বিষয়ে তারা ট্রাম্প প্রশাসনেরও সমালোচনা করেন।
সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউন গত মাসে বলেছিলেন, বিশ্ব অর্থনীতি ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সংকটের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এই ঝুঁকির ব্যাপারে কোনও ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘আমরা নেতাহীন বিশ্বে বসবাস করি।’
আইএমএফের ত্রিমাবার্ষিক বৈঠকের এক সপ্তাহ আগেই সংস্থাটির প্রধান ক্রিস্টিন লাগার্দে বলেন, তিনি সরকারি ও বেসরকারি খাতে বৈশ্বিক ঋণের ব্যাপারে অবগত। এই ঋণের পরিমান ১৮২ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্চহারের মার্কিন সুদের কারণেও কোণঠাসা।