লেবার পার্টির মনোনয়ন পেলেন টিউলিপ
বঙ্গবন্ধুর নাতনি ও শেখ রেহানা কন্যা টিউলিপ সিদ্দিকী ব্রিটিশ লেবার পার্টির পার্লামেন্টারি প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন। ২০১৫ সালে ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে তিনি লেবার পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
রোববার টিউলিপের সংসদীয় আসন কেন্দ্রীয় লন্ডনের হ্যামস্টেড এন্ড কিলবার্ণ এর লেবার পার্টির সদস্যরা ভোট দিয়ে আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচনে তাকে দলের প্রার্থী হিসেবে মনোনীত করেন।
পার্লামেন্টারি প্রার্থী হওয়ার পথে টিউলিপের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয় হ্যাকনি বারার ডেপুটি মেয়র কাউন্সিলর সফি লিনডেন ও ক্যামডেন বারার কাউন্সিলর সেলি গিমজনের। টিউলিপ নিজেও ক্যামডেন বারার রিজেন্টস পার্ক ওয়ার্ডের একজন কাউন্সিলর। বারায় তিনি ক্যাবিনেট লিড মেম্বারের দায়িত্ব পালন করছেন।
ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত টিউলিপের অন্যতম ক্যাম্পেইনার ও লেবার পার্টির সদস্য, বিশিষ্ট বাংলাদেশি ব্যবসায়ী পারভেজ আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, অধিকাংশ লেবার সদস্যের ভোটে বঙ্গবন্ধু নাতনি টিউলিপ আগামী পার্লামেন্ট নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন। হ্যামস্টেড এন্ড কিলবার্ণ সংসদীয় আসনের এমপি অস্কার বিজয়ী অভিনেত্রী গ্লেইড জ্যাকসন রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার ঘোষণা দেয়ায় এই আসনে লেবার পার্টির নতুন প্রার্থীর প্রয়োজন দেখা দেয়।
বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতা শেষে স্থানীয় লেবার সদস্যরা শেষ পর্বের ভোটে এমপি গ্লেইড জ্যাকসনের স্থলাভিষিক্ত করেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকীকে।
সোমবার এক প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে তার প্রার্থিতা লাভের প্রতিক্রিয়া সবাইকে জানাবেন বলে বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেছেন টিউলিপ সিদ্দিকী।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালে টিউলিপ ক্যামডেন বারার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। তিনিই এই বারার প্রথম বাঙালি মহিলা কাউন্সিলর। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা ও ড: শফিক সিদ্দিকীর মেয়ে টিউলিপের জন্ম ব্রিটেনে হলেও তার শৈশব কেটেছে ৭টি বিভিন্ন দেশে। ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স ডিগ্রিধারী টিউলিপ পড়াশোনা করেছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডনে। তিনি পলিটিক্স, পলিসি এন্ড গভর্নমেন্ট বিষয়েও দ্বিতীয়বার মাস্টার্স সম্পন্ন করেন।
সম্প্রতি টিউলিপ বিয়ে করেন ক্রিস পার্সি নামের এক ব্রিটিশ নাগরিককে। গত সপ্তাহে লন্ডনে বিয়ে পরবর্তী অনুষ্ঠানে তার খালা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও যোগ দেন।