ব্রিটেনে প্রতি পাঁচটি কাপড়ের তিনটি বাতিল হচ্ছে
ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ব্রিটেনেই সবচাইতে বেশি নতুন কাপড় কেনার প্রবণতা
নিত্য নতুন পোশাক পরে বাহবা পেতে চাই আমরা অনেকে। কিন্তু এর একটা চরম খেসারত দিতে হচ্ছে পরিবেশকে। কারণ, ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি প্রচুর পরিমাণে গ্রিন হাউজ গ্যাস উৎপন্ন করে। ব্রিটেনে পোশাক বিক্রেতা এবং হাল ফ্যাশন নিয়ে মাতামাতি করেন এমন ব্যক্তিরা পরিবেশের ক্ষতিতে তাদের ভূমিকার জন্য সমালোচিত হচ্ছেন।
ব্রিটেনে হাউজ অফ কমন্সের পরিবেশ বিষয়ক একটি কমিটি বলছে প্রতি মৌসুমে না লাগলেও শুধু কেতাদুরস্ত থাকার জন্য নতুন কাপড় কেনা মানেই এক বছর বা মাত্র কয়েক মাসেই প্রচুর কাপড় বাতিল হয়ে যাচ্ছে। বাতিল কাপড় গিয়ে জমছে ময়লার ভাগাড়ে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে ব্রিটেনেই সবচাইতে বেশি নতুন কাপড় কেনার প্রবণতা। গত এক দশক আগে মানুষজন সেখানে যে পরিমাণ কাপড় ক্রয় করতো এখন তার দ্বিগুণ কিনছে।
এই কমিটির তথ্য অনুযায়ী ব্রিটেনে গত বছর প্রায় ২৫ কোটি জামা কাপড় ময়লার ভাগাড়ে পাঠানো হয়েছে। এক বছরের মধ্যে সেখানে প্রতি পাঁচটি কাপড়ের তিনটি বাতিল হচ্ছে এবং ল্যান্ডফিল থেকে সেগুলো সংগ্রহ করে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। তাতে খরচ হচ্ছে জ্বালানি। ব্রিটেনে ২০১৫ সালে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির কারণে একশ বিশ কোটি টন কার্বন উৎপন্ন হয়েছে।
হাউজ অফ কমন্সের পরিবেশ বিষয়ক কমিটি আরও বলছে শুধুমাত্র একটি পরিবার মেশিনে একবার কাপড় পরিষ্কার করার পর সত্তর হাজার কাপড়ের তন্তু পানির সাথে পরিবেশে মিশে যাচ্ছে। যেসব কাপড় আপনি বাতিল করছেন তা এক পর্যায়ে সমুদ্রে গিয়ে পড়ছে। সমুদ্রের মাছ কৃত্রিম কাপড় খাচ্ছে। এই কমিটির হিসেবে ২০৫০ সাল নাগাদ ব্রিটেনে জলবায়ু পরিবর্তনের যে প্রভাব পড়বে তার তিন ভাগের এক ভাগেরও বেশি দায় হবে ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির। -বিবিসি